শুক্র ও শনিবার শত শত লোক বাড়িটি দেখতে যান...
‘কাজলরেখা’ ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত। এর প্রথম কারণ সিনেমাটি বানিয়েছেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। নারীপ্রধান মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা ‘কাজলরেখা’। সিনেমার সেট থেকে শুরু করে হাতি, ঘোড়া, নৌকা সবকিছুই আলোচিত হচ্ছে দর্শক-সমালোচকদের মধ্যে। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমা নিয়ে দেশ টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। কথা বলেছেন, ‘কাজলরেখা’ সেটের নির্মাণশৈলী নিয়ে।
‘কাজলরেখা’র সেট রূপকথার গল্পের মতো, এই অসম্ভবকে কীভাবে সম্ভব করা হলো—প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা বলেন, ‘রাজার বাড়িটা একটি স্কুল ছিল আসলে। স্থানীয়দের স্কুল ছিল। আমরা ওই স্কুলটাকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে দিই। বাচ্চারা ওখানে লেখাপড়া করে। ঘর বানিয়ে দিই। আর এ ঘরটা আমরা ভেঙে ফেলি। ভেঙে ফেলার পর ওখানে আমরা দুই শ ট্রাক বালু ফেলি, দুই শ ট্রাক মাটি ফেলি এবং দুইটি পুকুর তৈরি করি। সামনে চাতাল, পুকুর ও রাস্তা। এ বাড়িটার পেছনে অবদান সাইফুল হকের। উনি একজন বড় স্থপতি। উনি এই সেটের নকশা করেছেন। একটি বাড়ি বানাতে যে নকশা প্রয়োজন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত—এই কাজ উনি করেছেন।
পাশাপাশি আমরা খুব ভাগ্যবান যে ৭০ থেকে ৮০ জন গারো এ কাজটা জানেন, বাঁশ, বেত, শণ ও কাঠের বাইরে আমরা কোনো কিছু ব্যবহার করিনি। হাওর অঞ্চলের এক রাজার বাড়ি কেমন হবে, মানে রূপকথার মতো। এখন ওই বাড়িটা ওভাবে আছে, স্কুলটা ওখানে চলে। শুক্র ও শনিবার শত শত লোক বাড়িটি দেখতে যান।’
পাশাপাশি কাজলরেখার বাড়ি প্রসঙ্গেও বিস্তারিত বলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, ‘কাজলরেখার বাড়ির ক্ষেত্রে আমাদের দরকার ছিল একটা নদী, নদীর পাশে বাড়িটা হওয়া উচিত। ওখানে পাহাড়ি ছড়া ছিল, আমরা ছড়াতে বাঁধ দিলাম। এরপর পানি জমে নদী হয়ে গেল। এমন সেট তৈরি হলো যে বৈশাখী ঝড়েও কিছু হয়নি। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে গেল। এরপর আবার নতুন করে বাঁধ দেওয়া। আবার নদীটা বানাও। তারপর শুট করা।’
‘কাজলরেখা’ সিনেমায় শরীফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশীদ মিথিলা, ইরেশ যাকেরসহ অনেকে।