পাঁচ মাল্টিপ্লেক্সে চলছে ‘আজব কারখানা’

‘আজব কারখানা’ ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়নির্মাতার সৌজন্যে

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল পাঁচটি সিনেমা। এরপর গত তিন সপ্তাহে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। ঈদের চতুর্থ সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল নতুন সিনেমা।

শুক্রবার থেকে দেশের পাঁচটি মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাচ্ছে শবনম ফেরদৌসির ‘আজব কারখানা’। গতকাল বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে বিকেল ও সন্ধ্যার দুটি শোতে অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীরা ছবিটি দেখেন।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের লায়ন্স সিনেমা, রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে চলছে ছবিটি।

‘আজব কারখানা’ ছবির দৃশ্য। নির্মাতার সৌজন্যে

একজন রকস্টারের জীবনকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে ‘আজব কারখানা’র গল্প। গ্রামবাংলার বাউলশিল্পীদের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করেন এই রকস্টার। গল্পে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবাণী তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে শিল্পীর জীবন-সংগ্রামের কথা। এই রকস্টারের ভূমিকার অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

সিনেমার প্রচারে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। সে সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ‘আজব কারখানা’ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা। বলেছিলেন, ‘সবকিছু ছাপিয়ে শিল্পসত্তাকে অনুসরণ করা শিল্পীর মুখ্য কাজ। সেই তাগিদ থেকে কিছু কাজ করা হয়। তেমন একটি সিনেমা “আজব কারখানা”। কোন সিনেমার দর্শক কে হবেন, তা বলা মুশকিল। সব সিনেমাতেই কিছু কম ভালো জিনিস থাকে, কিছু বেশি ভালো জিনিস থাকে। সেটা দিয়ে তুল্যমূল্য বিচারে গিয়ে লাভ নেই। আজব কারখানা যদি সেই মানুষগুলোর কাছে পৌঁছায়, যাঁরা শহুরে হয়েও শিকড়ে ফিরতে চান বা টান আছে, তাঁদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শাবনাজ সাদিয়া ইমি, দিলরুবা দোয়েল, খালিদ হাসান রুমি, দিলু বয়াতি, কিতাব আলী, ক্রিস্টিয়ানো তন্ময়, অর্পণ, মায়মুনা মম, মাহরিন মান্যসহ অনেকে।

নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী বলেন, ‘মানুষের অস্তিত্ব, কর্মকাণ্ড সবটাই তো আজব। বিষয়গুলোকে একজন শিল্পীর জীবন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছি।’ একজন রকস্টারের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকশিল্পীদের দেখা হয়, প্রান্তিক পর্যায়ের এই শিল্পীদের জীবনধারা উঠে আসে ছবিতে। এতে শহর থেকে গ্রাম, দুই জীবনের চিত্রপট থাকায় সিনেমার টিমকে ছুটতে হয়েছে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। ছবিটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল। এর সহপ্রযোজক সামিয়া জামান। মুক্তির আগে ১৫টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে ছবিটি, পাঁচটি পুরস্কারও জিতেছে।