‘সবার উপকার করি কিন্তু গ্রামের মানুষ মনে করে আমি মাস্তান’
গ্রামবাংলার চেনা গল্পগুলো যেন সিনেমা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমান সময়ে গ্রামের মানুষের জীবনযাপন, সামাজিক দ্বন্দ্ব, গ্রামে চেনা মাঠ-ঘাট, খেত, নদী—এখনো দৃষ্টির আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। কিন্তু বড় একটা জনগোষ্ঠী গ্রামের সিনেমা এখনো দেখতে চান। সেই জায়গা থেকে এবার পুরোপুরি গ্রামনির্ভর গল্পে নাম লেখালেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। সিনেমার নাম ‘ভালোবাসি তোমায়’।
সিনেমায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন কায়েস আরজু ও চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। কিছুটা বিরতির পর কোনো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কায়েস বলেন, ‘একদম প্রেমের গল্প। গল্প শুনেই সিনেমাটির প্রেমে পড়ে যাই। গ্রামের প্রেম, জীবনযাপন, পারিবারিক কলহ নিয়ে অনেক ছবি হয়েছে কিন্তু এই ধরনের গল্প দর্শক প্রথম দেখবেন। আমাদের যে গ্রামের সংস্কৃতি রয়েছে, সেটাই দর্শক পর্দায় দেখবেন। গল্পটি গ্রামে বেড়ে ওঠা প্রত্যেক দর্শকের কাছে মনে হবে নিজের গল্পটি দেখছেন।’
চরিত্রটি কেমন জানতে চাইলে কায়েস জানান, গল্পে তাঁকে দেখা যাবে তিনি গ্রামের অনেকের উপকার করেন। কিন্তু গ্রামের একটি পক্ষ ছড়িয়ে দেয় ছেলেটি মাস্তান। এই ধরনের গল্প অনেক হয়েছে তাহলে গল্পে নতুনত্ব কী? এমন প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘ভিন্নতা অবশ্যই রয়েছে। দর্শক এখন একই সঙ্গে একটু বাণিজ্যিক, আর্টিস্টিক সিনেমা পছন্দ করছেন। তেমনটাই আমাদের “ভালোবাসি তোমায়” সিনেমাটি। আমি গ্রামের সবার উপকার করি কিন্তু গ্রামের মানুষ মনে করে আমি মাস্তান, এটা আগের ধারণা মনে হলেও উপস্থানায় পুরো নতুনত্ব থাকবে।’
কায়েস আরজু ও শিরিন শিলা সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। উচ্ছ্বসিত শিরিন শিলা গণমাধ্যমে জানান, বর্তমানে ভালো সময় পার করছে ঢালিউড। তাঁদের ‘ভালোবাসি তোমায়’ সিনেমাটি এই সময়ের দর্শকদের গল্প। দর্শক তাঁদের জুটিকে পছন্দ করবেন। মাহফুজুর রহমানের পরিকল্পনায় পরিচালনায় রয়েছেন আনোয়ার শিকদার। নভেম্বর শেষে গাজীপুর, বান্দরবান ও কক্সবাজারে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, সুব্রত, শাহনূর, বড়দা মিঠু, রেবেকা, আনোয়ার সিরাজী, জ্যাকি আলমগীর প্রমুখ।