‘বালুখেকো’ সেলিম খান ও খলনায়ক ডিপজল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন
২০ আগস্ট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদি নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটি প্যানেলের প্রধান দুজন সেলিম খান ও ডিপজল আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। সংশোধিত তফসিলে দ্বিতীয়বার আর মনোনয়নই তোলেননি ডিপজল। অন্যদিকে সেলিম খান মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। তবে ভোটের মাঠে আছেন খোরশেদ আলম-শামসুল আলম প্যানেল।
২১ মে নির্বাচন বাতিল হওয়ার পর সংশোধিত নির্বাচন তফসিলে দেখা গেছে, ভোটার তালিকা সংশোধন করায় প্রার্থী, প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার কারণে সাধারণ সদস্যপদ প্রার্থী থেকে ডিপজল, সেলিম খানসহ ১৫ জন ও সহযোগী সদস্যপদ প্রার্থী থেকে ৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়।
তবে সংশোধিত ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের নাম থাকলে বাতিল প্রার্থীরা পুনরায় ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়ন তুলে নির্বাচন করতে পারবেন তাঁরা। সে অনুয়ায়ী প্যানেলটির সভাপতি পদপ্রত্যাশী প্রার্থী সেলিম খান পুনরায় সংশোধিত তফসিলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী প্রার্থী ডিপজল আর মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।
আজ ১০ আগস্ট নির্বাচনী বিকেল চারটার মধ্যে তফসিলে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন সেলিম খান নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত এক আবেদনের মাধ্যমে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামে তাঁর নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখিত আবেদনে সেলিম খান লিখেছেন, ‘আমি মো. সেলিম খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সমিতির আসন্ন ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে একজন প্রার্থী হই। ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আমার প্রার্থিতা আমি প্রত্যাহার করলাম। আমার প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’
এদিকে প্রথম দফায় মনোনয়ন বাতিল হলেও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০ আগস্টের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পুনরায় মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি একই প্যানেলের ডিপজল।
এ ব্যাপারে আজ বুধবার দুপুরে ডিপজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার শরীর ভালো নেই। অনেক দিন থেকেই অসুস্থ আমি। কিছুদিন পরপরই দেশের বাইরে যেতে হয়। নির্বাচন করতে হলে তো সময় দিতে হবে। সেটি এখন আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণেই ভোট করছি না।’
তবে এই প্রযোজক ও অভিনেতার বক্তব্য, ‘এখন নির্বাচনের চেয়ে সিনেমার কথাই ভাবছি। আমার পাঁচটি ছবি প্রস্তুত। একটি সেন্সর হয়েছে, আরেকটি হলেই ছবিগুলো মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করব।’
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সেলিম খানের প্যানেলের আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘সেলিম খান না থাকলেও আমাদের প্যানেলের ১৯ জন আছি। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’
১৯ জন সাধারণ সদস্য ও ২ জন সহযোগী সদস্যের পদের বিপরীতে এখন স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থীসংখ্যা ৪৪। বর্তমান সাধারণ ভোটার ১০৮ ও সহযোগী ভোটার ৬৮ জন।