নিপুণের ডাকে সাড়া দিলেন ডিপজল–মৌসুমীরা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রশিল্পীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল; ফলাফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার পর তা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসতে থাকে। নির্বাচনে শিল্পীদের ভোটে শিল্পী সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ইলিয়াস কাঞ্চন–নিপুণ আক্তার প্যানেল। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মধ্যে নির্বাচনের পর গত ১০ মাসে সমিতিতে আসেননি মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিজয়ীরা।
নির্বাচন ঘিরে শিল্পীদের মতপার্থক্যের বিষয়টি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলোচিত হয়েছে, এর মধ্যে গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের এক আদেশে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে ফিরেছেন নিপুণ আক্তার। তাঁর দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ বিকেল চারটায় শিল্পী সমিতিতে ডাকা কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন মিশা–জায়েদ প্যানেল থেকে বিজয়ীরা।
মিশা–জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত সহসভাপতি ডিপজলের নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আলী রাজ, মৌসুমী, অঞ্জনা, নাদের খান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী। আলী রাজ ও মৌসুমী শপথ নিয়েছেন। ঢাকার বাইরে থাকায় সূচরিতা ও রুবেল উপস্থিত হতে পারেননি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, ‘নির্বাচনের পর মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বিজয়ীরা প্রথম বৈঠকে এলেন। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর প্রথম কার্যকরী পরিষদের বৈঠক ডেকেছিলাম। সবাইকেই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমিতির নিয়ম মেনে চিঠি দিয়েছিলাম। চিঠিতে সাড়া দিয়ে তাঁরা এসেছেন। প্যানেল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমাদের শিল্পী সত্তা এক। আমরা এক জায়গা থেকে চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করতে পারলে, পথটা সহজ হবে। তাঁরা আজ এসেছেন বলে আমার খুবই ভালো লাগছে।’
বৈঠকে আগামী জানুয়ারি মাসে শিল্পী সমিতির পিকনিকের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নিপুণ।
এত দিন পর বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জয় চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের যে নির্দেশ এসেছে, সেইভাবেই সমিতি পরিচালিত হবে। আমাদের প্যানেলের বিজয়ীরা প্রায় এক বছর সমিতিতে আসেননি। কোনো বৈঠকে অংশ নেননি। যেহেতু শিল্পীরা আমাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন, আমাদের কাছেও তো তাঁদের চাওয়া–পাওয়া আছে। সবাই মিলে এখন থেকে সমিতির সব কাজে অংশ নেব।’