২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

যে কারণে জসীমউদ্‌দীনের ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ থেকে সিনেমা বানাচ্ছেন পরিচালক

‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যগ্রন্থ এবার বড় পর্দায় আনছেন পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল
ছবি: সংগৃহীত

পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের অন্যতম কাব্যগ্রন্থ ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’। মাত্র ৩০ বছর বয়সে লেখা জসীমউদ্‌দীনের এই কাব্যগ্রন্থ পড়ে প্রশংসা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই কাব্যগ্রন্থ এবার বড় পর্দায় আনছেন পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই গুণী এ নির্মাতা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থটি থেকে সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। নানা কারণে সেটি হয়নি। জসীমউদ্‌দীনের কাব্যগ্রন্থ নিয়ে কেন সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করেছেন সেটিই জানালেন পরিচালক।

পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল
ছবি: সংগৃহীত

জসীমউদ্‌দীনের সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যগ্রন্থ্যের প্রেমে পড়ে যান কিশোর তানভীর মোকাম্মেল। এরপরে পরিচালক হয়ে ওঠা। নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া। তবে ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’–এর কথা ভোলেননি। দেশের বর্তমান নানা পরিস্থিতি আবারও কাব্যটি নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছাটা আরও বেশি জাগিয়ে তোলে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বড় পর্দায় আনা দরকার। কেন দর্শকদের সামনে আনা দরকার সেই প্রশ্নের উত্তরে এই পরিচালক বলেন, ‘এটি ধ্রুপদ লোকজ কাহিনি, যার আবেদন চিরন্তন। আমি সব সময়, বলতে পারেন সেই ছেলেবেলা থেকেই “সোজন বাদিয়ার ঘাট”–এর চলচ্চিত্রায়ণ করতে চেয়েছি। ছেলেবেলায় আমার বোনেরা এ কাহিনি নিয়ে নৃত্যনাট্য করেছিল। তখন থেকেই পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের এ কাব্যের আমি ভক্ত।’

পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের অন্যতম কাব্যগ্রন্থ ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’।
ছবি: সংগৃহীত

তানভীর মোকাম্মেল আরও বলেন, ‘এখন ছবিটি করার বিশেষ কারণ হলো “সোজন বাদিয়ার ঘাট”-এ যে অসাম্প্রদায়িক গ্রামবাংলার চিত্র রয়েছে, তা তো আজ প্রায় হারিয়ে গেছে। সে বাংলার রূপ ও বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যকে এ কালের মানুষকে, বিশেষ করে প্রজন্মকে দেখানোর জন্যই এখন ছবিটি নির্মাণের তাগিদ অনুভব করছি। আমি কৃতজ্ঞ, জসীমউদ্‌দীনের পরিবার আমাকে “সোজন বাদিয়ার ঘাট” চিত্রায়ণের অনুমতি দিয়েছেন।’

সহপ্রযোজনায় থাকবেন জসীমউদ্‌দীনের মেয়ে হাসনা জসীমউদ্‌দীন মওদুদ।
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের ছবিটির অভিনয়শিল্পী ও লোকেশন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও লোকেশন চূড়ান্ত হলেও সেগুলো এখনই বলতে চান না পরিচালক। তবে চলতি বছরেই শুটিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাব্যগ্রন্থ থেকে সিনেমার চিত্রনাট্য করবেন পরিচালক নিজেই। কবিতার বইটির প্রেক্ষাপট শিমুলতলী গ্রামের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে। এই গ্রামে ছেলে সোজন ও দুলালীর মধ্যে প্রেম হয়। যার শেষ পরিণতি পাঠকদের চোখ ভেজায়। ছবিটি প্রযোজনা করবে কিনো-আই ফিল্মস। সহপ্রযোজনায় থাকবেন জসীমউদ্‌দীনের মেয়ে হাসনা জসীমউদ্‌দীন মওদুদ।