কী করছেন সাদ

পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ
ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ২০২১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াল শাখায় ‘রেহানা’ মনোনয়ন পাওয়ার পর আড়াল ভেঙে সামনে আসেন সাদ। কানে যান, ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তারপর আবার অন্তরালে চলে যান। মাঝে ‘রিফিউজি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করলেও পরিচালক সাদকে আর পাওয়া যায়নি। সিনেমাপ্রেমীদের প্রশ্ন, এখন তাহলে কী করছেন সাদ?

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সাদ, পাশে অভিনেত্রী বাঁধন
ছবি: ফেসবুক

এ প্রশ্নের উত্তর আমরাও জানতে চেয়েছিলাম। জানা গেছে, হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় থাকেন সাদ। বেশির ভাগ সময় বাসাতে থাকেন এই নিভৃতচারী পরিচালক। তেমন প্রয়োজন ছাড়া বের হন না। দোকানেও সচরাচর যান না। ২ নম্বর রোডের এক দোকানদার জানালেন, শুনেছেন পাশেই গুণী এক নির্মাতা থাকেন, কিন্তু তাঁকে চেনেন না। জানা গেল, কখনোই কোনো পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যান না সাদ। বাসা ও অফিসে মাঝেমধ্যে শুটিং টিমের সদস্যদের সঙ্গে বসা হয়, কাজ নিয়ে কথা হয়। এর ফাঁকেই জমে ওঠে আড্ডা। নানান দেশের সিনেমা, সিরিজ নিয়ে কথা বলেন। নেটফ্লিক্স, এইচবিও, হুলু প্রভৃতি ওটিটির একাধিক সিরিজের তিনি ভক্ত। দেশ–বিদেশের সিনেমা দেখা তাঁর নেশা।

৭৪ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সাদ ও বাঁধন
ছবি: ফেসবুক

ভক্তদের প্রশ্ন থাকতে পারে, সিনেমা ও ওটিটি দেখা ছাড়া আর কী করেন সাদ? সিনেমা ও ওটিটির জন্য ওয়েব সিরিজ লেখালেখি নিয়ে এখন ব্যস্ত সাদ। সিরিজ লেখার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছেন। এ বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে শুটিং করতে চান সাদ। কিন্তু সাদের সিনেমার জন্য ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। সাদ পরিচালিত লাইভ ফ্রম ঢাকা ও ‘রেহানা’র প্রযোজনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁর শৈশবের বন্ধু এহসানুল হক। তিনি বলেন, ‘সাদ চিত্রনাট্য লিখছে। চিত্রনাট্য লিখতে তাঁর দু–তিন বছর লাগে। ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র চার বছর পরে এসেছিল ‘রেহানা’। এভাবেই কাজ এগোচ্ছে। গল্প কী নিয়ে, সেটা আমরা জানি না। লেখা শেষ হলেই জানতে পারব।’ সাদের প্রোডাকশন হাউস থেকে ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু হচ্ছে বলে জানা গেল। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন নিয়েও তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যস্ততা রয়েছে। এসব কাজের দেখভাল করছেন সাদ।

‘রেহানা’ন সিনেমার একটি দৃশ্য
ছবি: ফেসবুক

চার বছর পরিচালনা থেকে দূরে থাকলেও আর্থিক দিক কীভাবে সামলান এই পরিচালক—এমন প্রশ্নে এহসানুল বলেন, ‘এগুলো তো আমি বলতে পারব না। কিন্তু দীর্ঘদিনের পরিচয় থেকে এটা বুঝতে পারি, জীবনে সাদের বাড়তি কোনো চাহিদা নেই। গাড়ি, বাড়ি, নারী, দেখনদারির পেছনে মানুষের টাকা খরচ হয় সবচেয়ে বেশি। এসবের কোনোটার মধ্যেই সে নেই। তার স্টকে যদি তিন বছর চলার মতো অর্থ থাকে, তাহলে এই সময়টা নিজের মতো করেই সিনেমা দেখবে, রিসার্চ করে কাটাবে। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে প্রস্তাব পাচ্ছি কিন্তু আমাদের ইচ্ছা, নিজেদের অর্থায়নে নিজেদের মতো করে শুটিং করব। সবকিছু মিললেই আমরা কোলাবরেশনে কাজ করব।’