‘শাকিব খানের প্রতিটি মুহূর্ত যেন বিনোদনের জ্বলন্ত উনুনে তৈরি হটকেক’

‘তুফান’ সিনেমায় এই লুকেই দেখা গেছে শাকিব খানকেছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

গত ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়।

পরে দেশের বাইরে মুক্তির পরও ‘তুফান’ নিয়ে প্রবাসী দর্শকের সমান আগ্রহ দেখা গেছে। ৫ জুলাই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এর পর থেকেই সিনেমাটির সমালোচনা প্রকাশ করছে কলকাতার গণমাধ্যমগুলো। এবার ‘তুফান’-এর রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে।

আরও পড়ুন

‘সব ছবিই বাণিজ্যিক। ছবি তৈরি করার জন্য একজন প্রযোজকের প্রয়োজন, যিনি লাভের কথা ভেবে ছবিতে টাকা লগ্নি করেন। পরিচালক, অভিনেতা ও অন্য কলাকুশলীরা তাঁদের দক্ষতা দিয়ে প্রযোজককে লাভের মুখ দেখানোর চেষ্টা করেন। তার বদলে তাঁরা পারিশ্রমিক পান।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা
কোলাজ

এটাই একটি সফল বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রধান শর্ত। বাংলাদেশের পরিচালক রায়হান রাফীর “তুফান” ছবিটি সেই শর্ত মেনেই নির্মিত হয়েছে।’—এমন ভূমিকায় অতীন্দ্র দানিয়াড়ীর লেখা রিভিউতে মোটাদাগে ‘তুফান’-এর প্রশংসাই করা হয়েছে।

‘তুফান’-এর প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, ‘চোখা চোখা সংলাপ এবং অফুরন্ত অ্যাকশন দর্শকদের আসন থেকে নড়তে দেয় না। ছবির শেষে শান্ত এবং ডনের কী পরিণতি হয়, সেটাই “তুফান” ছবির তুরুপের তাস, যা দেখার জন্য দর্শককে হলে যেতে হবে।’

‘তুফান’ সিনেমার আলোচিত ‘লাগে উরাধুরা’ শিরোনামের গানের দৃশ্যে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী
ছবি: প্রযোজনা সংস্থা

সিনেমাটিতে শাকিবের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, ‘এক গ্যাংস্টারের চরিত্রে শাকিব খান পর্দায় এক অন্য মেজাজ নিয়ে আসেন। তাঁর হাঁটাচলা, চাহনির প্রতিটি মুহূর্ত যেন বিনোদনের জ্বলন্ত উনুনে তৈরি হটকেক। যে হটকেকের স্বাদ পেতে বাংলাদেশের মানুষ দলে দলে ভিড় করছেন প্রেক্ষাগৃহে।’ ছবিতে দুই নায়িকার একজন মিমি চক্রবর্তী। ‘তুফান’-এর দুই আলোচিত গান ‘লাগে উরাধুরা’ ও ‘দুষ্টু কোকিল’-এ মিমিকে দেখে সমালোচকের সত্তর দশকের আলোচিত নায়িকা হেলেনের কথা মনে পড়ে গেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার এই রিভিউতে ‘তুফান’-এর কিছু দুর্বলতাও তুলে ধরা হয়েছে। ‘চিত্রনাট্যে দ্বৈত চরিত্রের শাকিব খানকে জায়গা করে দিতে গিয়ে অনেক দক্ষ অভিনেতাকেই কোণঠাসা করা হয়েছে। পর্দায় তেমন কিছু করার থাকে না তাঁদের। বলা যায়, এটিই এই ছবির অন্যতম প্রধান দুর্বলতা। বাণিজ্যিক ছবির ধারাকে মাথায় রেখে, ছবির আবহসংগীত ভালো হলেও মাঝেমধ্যে খুবই উচ্চ দাগের এবং একই রকম হওয়ায় বেশ একঘেয়ে লাগে। কটু যুক্তিযুক্ত নাটকীয় সংঘাত এবং আর একটু ঝরঝরে চিত্রনাট্য বোধ হয় ছবিটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত, তখন দর্শক একটু শ্বাস নেওয়ার জায়গা পেতেন,’ এমনটাই লিখেছে পত্রিকাটি।
আনন্দবাজার ‘তুফান’–এর রেটিং দিয়েছে ১০–এ ৬।