পুলিশ বলছে, লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন নিপুণ, যা বললেন নায়িকা
ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা সংস্থা নিপুণকে অভিবাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ কারণে সড়কপথে সিলেট বিমানবন্দরে গিয়েও এই নায়িকার আর দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এদিকে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় নিপুণের সঙ্গে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে তিনি মেসেঞ্জারে দাবি করেন, খবরটি সঠিক নয়।
তবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। এ সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তিতে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।’
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের নামে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে কোনো মামলা নেই। তাঁকে যুক্তরাজ্যগামী ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য তিনি সড়কপথে সিলেটে এসেছিলেন। ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকে দেওয়ার পর তিনি আর ওই বিমানে উঠতে পারেননি। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।’
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানায়, আজ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সিলেট থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০১ ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের হিথরো যাওয়ার কথা ছিল। ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য মুখে মাস্ক ও চোখে চশমা পরে ইমিগ্রেশনে উপস্থিত হন। এ সময় দেশের একটি গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের সন্দেহে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ওই যাত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানান। তবে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের পাসপোর্টে তাঁর নাম নাসরিন আক্তার উল্লেখ করা ছিল। তিনি চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার কি না জানতে চাইলে নিশ্চুপ থাকেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁর যাত্রা বাতিল করে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বেলা সাড়ে ১১টায় নিপুণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বনানীর বাসায় আছি। এই খবর ভুয়া। এর বাইরে এ বিষয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না। ফালতু সব বিষয়।’