প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁরা

নদীর নাম মধুমতি, চিত্রা নদীর পাড়ে, প্রিয়তমেষু—এর মতো প্রশংসিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনয়শিল্পী আফসানা মিমি। প্রতিটি সিনেমাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে, তবে মিমি পাননি।
চলচ্চিত্রে তিন দশকের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন আফসানা মিমি। নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পাপ পুণ্য সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হচ্ছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২–এ ২৭ বিভাগে ৩৩ শিল্পী, কলাকুশলী, প্রতিষ্ঠান ও চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের মতো শিল্পী ও কলাকুশলী এবারই প্রথমবার পুরস্কারটি পাচ্ছেন।

আফসানা মিমি
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল আফসানা মিমি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছি, খুব ভালো লাগছে। সিনেমাটি আমার খুব প্রিয়, প্রিয় কাজ নিয়ে পুরস্কার পেলে ভালো লাগে।’
গলুই সিনেমার প্রযোজক ও কাহিনিকার খোরশেদ আলমও প্রথমবার চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। হালের আলোচিত অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানও প্রথমবার পাচ্ছেন, পরাণ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া নির্মাণ করে যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পাচ্ছেন নির্মাতা মুহাম্মদ আবদুল কাইউম, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারও হচ্ছেন তিনি।
এর বাইরে তরুণদের মধ্যে গায়িকা আতিয়া আনিসা প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন; পায়ের ছাপ সিনেমার ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য পুরস্কারটি পাচ্ছেন তিনি। গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে আতিয়া বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে এত অল্প সময়ে এটা অনেক বড় অর্জন, এটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’

আতিয়া আনিসা
ছবি: সংগৃহীত

আরও যাঁরা প্রথমবার চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন, শিমু সিনেমার অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী শিমু ও তানসিনা শাওন (পোশাক ও সাজসজ্জা), অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার কৌতুক অভিনেতা দিপু ইমাম ও রূপসজ্জাশিল্পী খোকন মোল্লা, পরাণ সিনেমার ‘ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে’ গানের গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন, রোহিঙ্গা সিনেমার শিল্পনির্দেশক হিমাদ্রি বড়ুয়া এবং দুই শিশুশিল্পী ফারজিনা আক্তার (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া) ও বৃষ্টি আক্তার (রোহিঙ্গা)।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২–এ যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া ও পরাণ। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হচ্ছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা কামরুল আলম খান খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনা।
আগামী ১৪ নভেম্বর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী শিল্পীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও থাকছে।

আরও পড়ুন