শাকিব– বুবলীর সেই ছবিটি বেশ কয়েক বছর আগের...
শবনম বুবলীকে তাজমহল দেখাতে নিয়ে গেছেন শাকিব খান—এমন খবর দুই দিন ধরেই বিনোদন অঙ্গনে চাউর। আগ্রার তাজমহলে শাকিব খানের সঙ্গে বুবলীর পোস্ট করা একটি স্থিরচিত্র থেকে এমন কথা চাউর হতে থাকে। ২০ নভেম্বর শবনম বুবলী ৩৩ পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পা রাখেন। জন্মদিনের পরদিনই শাকিব খানের সঙ্গে আগ্রার তাজমহলের স্থিরচিত্রটি পোস্ট করেন বুবলী।
স্থিরচিত্রটি পোস্ট করে বুবলী লিখেছেন, ‘যে জায়গায়টায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এটি সম্রাট শাহজাহান এবং মমতাজের শোবার ঘর। বিয়ের পর শুটিংয়ে দুজনেই খুব ব্যস্ত ছিলাম, কিন্তু তার ফাঁকেও খুব অল্প সময়ের জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত ভালোবাসার সবচেয়ে বড় নিদর্শন তাজমহল দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন উনি আমাকে।’
এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ জানা যায়, শাকিব খান ও শবনম বুবলী মা-বাবা হয়েছেন। এই তারকা জুটির ছেলের বয়স আড়াই বছর। জানা যায়, বুবলী মা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জুইশ মেডিকেল হাসপাতালে। ২০২০ সালের ২১ মার্চ তিনি ছেলের জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখা হয় শেহজাদ খান বীর। এর ঠিক দুই দিন পর বুবলী তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানান, তাঁর জীবনের দুটি স্মরণীয় তারিখের কথা। বুবলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের স্মরণীয় দুটো তারিখ। ২০ জুলাই ২০১৮, এটি আমাদের বিয়ের তারিখ। আর ২১ মার্চ ২০২০ আমার ছেলের জন্মতারিখ। এর পর থেকে শাকিব খান ও বুবলীকে ঘিরে চলে আলোচনা। তবে ঘোষণার ঠিক দুই দিন পর ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির গানের শুটিংয়ে দেখা যায় তাঁরা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেননি।
এমনকি দুজনের বিশ্রামের জন্য পাঁচতারা সেই হোটেলে ছিল আলাদা দুটি কক্ষ। এর পর থেকে গুঞ্জন রটে, শাকিব-বুবলী কি আদৌ একসঙ্গে আছেন, নাকি সম্পর্ক ঘোষণার আগেই শেষ হয়ে গেছে। শাকিব গণমাধ্যমে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে ইঙ্গিত দেন, তাঁদের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে বুবলী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁদের সম্পর্ক আছে। দুজনের এমন কথায় শাকিব খানের ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দোটানায় পড়েন।
এদিকে আগ্রার তাজমহলে তোলা স্থিরচিত্রটি প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয় শাকিব খানের সঙ্গে। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘ছবিটি বেশ কয়েক বছর আগের। “নাকাব” সিনেমার শুটিং সময়ের। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে “নাকাব” সিনেমার শুটিং করছিলাম। কপিরাইট ইস্যু নিয়ে তিন সপ্তাহ শুটিং বন্ধ থাকায় আমিও অবসর পাই।
সেই সময়ে ব্যক্তিজীবন নিয়ে আমি বেশ টানাপোড়েনে ছিলাম। তাই আজমির শরিফ ঘুরে আসার পরিকল্পনা করি। বুবলীর সঙ্গে যেহেতু তখন যোগাযোগ হতো, একটা সম্পর্ক ছিল, সে আমাকে অনুরোধ করেছিল, তাকে নিয়ে যেতে। যেহেতু আজমির শরিফে যাওয়ার পথে আগ্রার তাজমহল, সে সুযোগে সেখানেও ঘুরে আসা হয়। ছবিটি তখনই তোলা, তা-ও প্রায় বছর পাঁচেক হবে। পাঁচ বছর আগের এ ছবি পোস্ট করে বুবলী কী বোঝাতে চাইছে, তা সে নিজেই ভালো জানে।’