সালমানের চলে যাওয়ার দিনে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’

এখনো ভক্তদের হৃদয়ে বাস করছেন এ নায়ক। নিজের কাজের গুণে এখনো বেঁচে আছেন মানুষের মাঝে। তাঁর প্রয়াণদিবসে সালমান শাহকে স্মরণ করবে নাগরিক টেলিভিশন।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে সালমান শাহ ও মৌসুমীসংগৃহীত

প্রায় ২৪ বছর আগের কথা। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শরতের সকালে ঢালিউডে শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নেন নায়ক সালমান শাহ। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর বড় ছেলে ইমন এসেছিলেন ১৯৭১-এ, চলে যান ১৯৯৬-এ। এই ২৫ বছরে ঢালিউডে গড়েছেন জনপ্রিয়তার ইতিহাস।

সালমান শাহ
সংগৃহীত

এখনো ভক্তদের হৃদয়ে বাস করছেন এ নায়ক। নিজের কাজের গুণে এখনো বেঁচে আছেন মানুষের মাঝে। তাঁর প্রয়াণদিবসে সালমান শাহকে স্মরণ করবে নাগরিক টেলিভিশন। আজ রোববার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে নাগরিক টেলিভিশনে দেখানো হবে সালমান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’।

১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় সালমানের নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। আমির খান-জুহি চাওলা জুটির সুপারহিট হিন্দি সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’–এর অফিশিয়াল পুনর্নির্মাণ ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’।

১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় সালমানের নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। আমির খান-জুহি চাওলা জুটির সুপারহিট হিন্দি সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’–এর অফিশিয়াল পুনর্নির্মাণ ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। মুক্তি পর দর্শক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছিল। সালমান-মৌসুমী ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন রাজিব, আহমেদ শরীফ, আবুল হায়াত, খালেদা আক্তার কল্পনা প্রমুখ।

কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির পর সালমান ও মৌসুমী অভিনয় করেছিলেন অন্তরে অন্তরে ছবিতেও
সংগৃহীত

সিনেমাটির প্রচার প্রসঙ্গে নাগরিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান কামরুজ্জামান বলেন, জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর সুপারহিট সিনেমা এটি। গত ২৭ বছর আগে মুক্তি পেলেও এ সিনেমার আবেদন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। সালমানভক্তরা আজও এ সিনেমা দেখতে চান। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ও প্রয়াত নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমাটি সম্প্রচার করা হবে।

আজও ঢালিউডের কোনো নায়ক অতিক্রম করতে পারেননি সালমানের জনপ্রিয়তা। তিনি বেঁচে আছেন ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে।