‘ভালোবাসা, ভালো লাগার জায়গায় বেশি ঝুঁকি থাকে’
বড় পর্দার নায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামাল। প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করলেন। নাম আ নাইট টু রিমেম্বার। পরিচালনা করেছেন আবরার আতাহার। এই ফিল্মসহ তাঁর আগামী কাজ নিয়ে বিনোদনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রশ্ন :
প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করলেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই ভালো হয়েছে। কাজটি করতে গিয়ে খুব মজা হয়েছে। শুটিংয়ে আমি শিল্পী হিসেবে যতটা মজা পেয়েছি, কনটেন্টটি দেখার সময় দর্শকেরা আরও বেশি মজা পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। অনেক সময় হয় না, কাজটি দেখে দর্শক মজা পাচ্ছেন কিন্তু শিল্পীরা কষ্ট করে কাজটি করেছেন, মজা পাননি। কিন্তু এবারের কাজটি পুরোই উল্টো। এই কাজ করতে গিয়ে হাসতে হাসতে জীবন শেষ।
প্রশ্ন :
ওটিটি ফিল্ম আর প্রেক্ষাগৃহের ফিল্মের কাজে পার্থক্য কী মনে হয়?
আমি তো ফিচার ফিল্ম দিয়ে অভিনয় শুরু করেছি। ফিচার ফিল্মের সঙ্গে ওটিটির তুলনা সম্ভব নয়। দুটি ভিন্ন। সিনেমা হলের জন্য কাজে অনেক আয়োজন থাকে। বাজেট, সময়, লোকেশন, এমনকি সম্পাদনা, ডাবিং, কালার কারেকশনেও অনেক সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পারফেকশন আনতে হয়। তারপর সেন্সরের ব্যাপার থাকে। মোটকথা, বড় পর্দার কাজ বড় আয়োজনে, ছোট পর্দার কাজ অনেকটা ছোট আয়োজনে হয়। বড় পর্দার কাজে শুটিং থেকে শুরু করে, পর্দায় ওঠার আগপর্যন্ত যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, ওটিটির কাজে অত ব্যাপার থাকে না। তবে এর গুরুত্বও বাড়ছে, সামনে আরও বাড়বে।
প্রশ্ন :
সমসাময়িক সহশিল্পীদের অনেকে ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্মের পাশাপাশি নাটকেও নিয়মিত। আপনাকে দেখা যায় না।
এ বছর দুটিমাত্র কাজ করেছি। আগামী বছর যদি ক্লোজআপের কাজের প্রস্তাব থাকে, তাহলে আরেকটি কাজ করতে পারি। তা ছাড়া নাটক করব না। আমি আস্তেধীরে বড় পর্দার কাজটাই করতে চাই। বিভিন্ন মাধ্যমে গণহারে কাজ করব না। অভিনয়ের কোয়ালিটি আমার বড় সম্পদ। তবে হুম, বছরে দু-একটি ওটিটির কাজ হতেই পারে। যেমন আ নাইট টু রিমেম্বার কাজটি চিত্রনাট্য পড়েই করতে চেয়েছি। অনেক সময় দেখা যায়, চিত্রনাট্য হাতে পেলে পড়ার পর একটু সময় নিয়ে কাজের সিদ্ধান্ত নিই আমরা। কিন্তু এই চিত্রনাট্য পড়েই নিজ থেকেই কাজটি করতে চেয়েছি। কারণ, আমার মনে হয়, এমন গল্পের কাজ বাংলাদেশে আর হয়নি।
প্রশ্ন :
শুধু ফিচার ফিল্ম করে টিকে থাকাটা ঝুঁকির হয়ে যাবে না?
আমি কিন্তু চিন্তাভাবনা করেই বাংলা সিনেমায় কাজ করতে এসেছি। ভালোবাসা, ভালো লাগার জায়গায় বেশি ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া আমি ওটিটির ফিল্মকে তো আর খারাপ বলছি না। ওটিটি একটা নতুন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে নতুন নতুন কনটেন্ট মানুষের কাছে দ্রুতই পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। ফিচার ফিল্ম ভিন্ন। প্রেক্ষাগৃহে বসে সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। শুনছি, মিশন এক্সট্রিম–এ দর্শক আসছেন। নোনা জলের কাব্য ছবিটিও নাকি ভালো চলছে। একটু ফ্রি হলে ছবি দুটি দেখতে হলে যাব। হলে বসে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। আমরা শিল্পীরা নিজেরা দেখব এবং আশপাশের মানুষজনকে সিনেমা দেখার আহ্বান জানিয়ে অভ্যস্ত করলে বেশি বেশি ফিচার ফিল্ম তৈরির সুযোগ হবে।
প্রশ্ন :
শেষ কবে হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন?
গেল মাসেই দেখেছি। হলে বসে রেহানা মরিয়ম নূর দেখলাম। নতুন নতুন ছবি মুক্তি পেলে হলে বসে দেখার চেষ্টা করি আমি। কারণ, ফিচার ফিল্ম করাটাই আমার মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন :
নতুন কাজের খবর কী?
ডিসেম্বর মাসে অন্তর্জাল ছবির বাকি শুটিং শেষ করব। নতুন কাজ বলতে পাঁচটি সিনেমার চিত্রনাট্য ও কয়েকটি ওয়েব ফিল্মের চিত্রনাট্য হাতে আছে। পাঁচটির মধ্যে দুটির কাজ করার ইচ্ছা। যদিও পাঁচটির মধ্যে তিনটি চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছে।