‘এই ভালো লাগা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না’
বুবলীর এখন ঈদের আনন্দ। এই ঈদে টেলিভিশন, অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, প্রেক্ষাগৃহ সবখানে তাঁকে পেতে যাচ্ছেন দর্শকেরা। দুটি নতুন সিনেমা আসছে দুই জায়গায়। আর যাঁরা সিনেমা হলে গিয়ে তাঁর পুরোনো ছবিগুলো দেখার সুযোগ পাননি, তাঁরা দেখবেন টিভি চ্যানেলে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে শাহিন সুমনের ‘বিদ্রোহী’ ছবিটি দেশের ১০২টি হলে মুক্তি পাচ্ছে। শাকিব খানের বিপরীতে এই ছবির নায়িকা শবনম বুবলী। ঈদের দিন চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে বুবলী অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘৭ নম্বর ফ্লোর’। ঈদের দিন থেকে টানা পাঁচ দিন বাংলা টিভিতে দেখানো হবে বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘সুপার হিরো’, ‘ক্যাপ্টেন খান’ ‘চিটাগাইংগ্যা পোয়া, নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া’, ‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে বসার ঘর, সবখানে নিজের উপস্থিতি নিয়ে আনন্দিত বুবলী। কেমন লাগছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদে সব শিল্পীরই নিজের কাজ নিয়ে একটা ভালো লাগা কাজ করে। দুই বছর পর ঈদে আমার সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে উঠছে। প্রেক্ষাগৃহে অনেকে সিনেমা দেখতে যান না বা সময় হয় না। ঈদের ছুটিতে বাসায় বাসায় টেলিভিশনে আমার পাঁচটি সিনেমা প্রথমবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন টিভির দর্শকেরা। দেশ ও দেশের বাইরে অসংখ্য মানুষ ওটিটিতে আমার কাজ দেখবেন। মনে হচ্ছে আমার ঈদ যেন আগেই শুরু হয়ে গেছে। এই ভালো লাগা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
ঈদে শুধু নিজের সিনেমাই নয়, পর্যায়ক্রমে ‘শান’ ও ‘গলুই’ও দেখবেন প্রেক্ষাগৃহে। জানালেন ঈদের পরদিন যেকোনো একটি হলে ‘বিদ্রোহী’ সিনেমাটি দেখবেন বুবলী। তিনি বলেন, ‘লোকাল সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। সেখানে দৃশ্যে দৃশ্যে দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। ছদ্মবেশে এ রকম হলে গিয়ে আমি অনেকবার সিনেমা দেখেছি। শিস বাজানো থেকে শুরু করে নায়ক-নায়িকার গানের সময় হলের মধ্যে দর্শকদের নাচতেও দেখা যায়। এইসব হলে বাংলা সিনেমা দেখার আসল স্বাদটা পাওয়া যায়। দর্শকসারিতে বসে একজন অভিনেত্রীর এমন পরিবেশে নিজের সিনেমা দেখার অনুভূতিই অন্য রকম।’
ঈদে বড় বোনসহ আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে উপহার পান বুবলী। নিজের জন্য তাই তেমন কিছু আর কিনতে হয় না। তবে প্রতিবার ঈদে মা–বাবাসহ পরিবারের ছোট–ড় সবার জন্যই নিজ হাতে কেনাকাটা করেন তিনি। সম্প্রতি ‘বিট্রে’ সিনেমার শুটিং শেষ করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরেছেন এই নায়িকা। তাই এখনো সময় পাননি। সোমবার শুরু করবেন কেনাকাটা। তিনি বলেন, ‘এবার শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ মিলে প্রায় ২০টি ঈদের পোশাক পেয়েছি। নিজে আর কী কিনব! ঈদের সময় পরিবারের সবার জন্য নিজ হাতে কেনাকাটা করি আমি। এটা আমার ভীষণ ভালো লাগার একটা ব্যাপার। এটা আমাকে অন্য রকম আনন্দ দেয়।’