ওমর সানীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যা বললেন জায়েদ খান
এবার জায়েদ খানের নামে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিলেন ওমর সানী। ঢালিউডের এই অভিনেতা তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, চার মাস ধরে তাঁদের সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে অভিনেত্রী মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছেন জায়েদ। সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আবেদন জানিয়ে ওমর সানী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বললেন, ‘পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। এই ব্যাপারে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বললেই সব জানতে পারবেন।’
জায়েদ বলেন, ‘আমি কখনোই তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করিনি। এটা একদম ভুয়া কথা। আমাদের নির্বাচনই তো চার মাস হয়নি। এখন সানী ভাই একটার পর একটা মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন। আপনারা মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বলেন। আমি মিথ্যা বলছি কি না, জানুন। তা ছাড়া আমরা ১৫–২০ দিন আগেও একসঙ্গে ডিপজল ভাইসহ অন্যরা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে মৌসুমী আপা এসেছেন। আমাদের কথাও হয়েছে। সম্পর্ক খারাপ হলে মিটিংয়ে আমাদের থাকার কথা নয়। এ ছাড়া সিনেমার শুটিংসহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে আমাদের মাঝেমধ্যেই কথা হয়।’
ওমর সানীর অভিযোগ বিষয়ে জায়েদ পাল্টা অভিযোগ করে জানান, এমন ঘটনায় তাঁর নিজের মানহানি হচ্ছে। জায়েদ মনে করেন, ওমর সানী মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাঁকে শিল্পী হিসেবে অসম্মান করছেন। তিনি বলেন, ‘একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন না। প্রথমত, পিস্তল আমার সঙ্গে ছিল না। আর ঘরসংসার ভাঙার ইঙ্গিত খুবই খারাপ। এতে মৌসুমীকেও ছোট করা হচ্ছে। গতকাল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নাটক চলছে। তিনি যখন দেখেছেন আমি এগুলোর সঙ্গে নেই, তখন ভিন্ন দিকে বিষয়টাকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না।’
সম্প্রতি মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিয়েতে ওমর সানী ও জায়েদ খানকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী চড় মেরে বসেন জায়েদ খানকে। চড়ের পর ওমর সানীকে পিস্তল বের করে মারার হুমকি দেন জায়েদ খান, এমন অভিযোগ এনেছিলেন ওমর সানী নিজেই। তিনি এই ঘটনার জেরে শিল্পী সমিতির কাছে বিচার চেয়েছেন।
শিল্পী সমিতি বরাবর ওমর সানী স্বাক্ষরিত অভিযোগে লেখা হয়, ‘সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস যাবৎ আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানা ধরনের হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এই ব্যাপারে তাকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ আমার ছেলের কাছেও আছে। তা ছাড়া মুরব্বি হিসেবে ডিপজল ভাইয়ের কাছেও অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা হলে এই বিষয়ে সংযত হওয়ার অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’ পরে তিনি অভিযোগ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিকে অনুরোধ করেন।