‘এরপরে গ্রামে গিয়ে জমিতে ধান লাগাব’
চট্টগ্রাম শহরে শৈশব কেটেছে তাঁর। পাহাড়, সমুদ্র দেখে দেখে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী জাহারা মিতু। প্রথমবার চাষের জমিতে নামলেন তিনি। খেতের কাদাপানিতে লাফালাফি করেছেন মনের আনন্দে। তাঁর এই নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন শত শত উৎসুক দর্শক। আনন্দে মাতোয়ারা নায়িকা ঠিক করেছেন, এরপরে কাদাপানি দেখলেই নেমে কাদায় গড়াগড়ি করবেন।
জাহারা মিতু বলেন, ‘যান্ত্রিক জীবনের বাইরে এবারই গ্রামের কাদাপানিতে লাফালাফি করলাম। এটা আমার জীবনের সেরা অনুভূতি। বারবার মনে হচ্ছিল, ইশ্! কেন আগে কাদায় নামিনি। এই শুটিংয়ের এক দিন আগেই আমার পা মচকে যায়। সেই পা নিয়েই কাদায় নেমেছিলাম। এত ভালো লেগেছে যে মচকানো পায়ের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমরা যে মাটির তৈরি, সেটা আবার মনে হলো। সেই অনুভূতিই পাচ্ছিলাম। কাদামাটিতে কী যে শান্তি, এটা মাটির কাছে গেলেই বোঝা যায়। এরপরে যদি গ্রামে যাই, এমন পরিবেশ কাদায় নামতে ভুলব না।’
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শুটিংয়ে মিতুকে ঘিরে রেখেছেন শুটিংয়ের ৮-১০ লোক। উদ্দেশ্য, কেউ যেন কাছে না আসতে পারেন। তার মধ্যেও কেউ কেউ তাঁর কাছাকাছি চলে আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জাহারা। ‘একজন অভিনেত্রী যে কাদাপানিতে নামতে পারেন, এটা ভেবেই তাঁরা অবাক হচ্ছিলেন। বেশ কয়জন আমাকে বললেন, “আপা আপনি তো আমাদের মতোই।” তাঁদের কথা শুনে মনে হয়েছে, এটাই আমার সার্থকতা। গানের এই দৃশ্যের প্রয়োজন তাঁদের একজন হতে পেরেছি,’ বলেন জাহারা। তিনি আরও বলেন, ‘কাদায় তো আমি বারবার নামবই। আমার খুব ইচ্ছে, খেতে একদিন ধান লাগানো। এটা আমাদের কৃষক ভাইয়ের সম্মান করেই আমার চাওয়াটি।’
সম্প্রতি সিনেমাটির শুটিং থেকে ঢাকায় ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে এক দিন শুটিংয়ের সময় খাদের মধ্যে পড়ে পা মচকে গেলেও কাউকে জানাননি। নদীতে নেমেও ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করেছেন। মিতু বলেন, ‘আমার পা মচকে যাওয়ার এক দিন আগেই বাপ্পী চৌধুরীর একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সেটা নিয়ে অনেকে চিন্তায় ছিলেন। শুটিংয়ে এত দুর্ঘটনা ঘটছে, এসব ভেবেই আমার কথাটা চেপে গেছি।’ সম্প্রতি তাঁরা শেষ করেছেন ‘কুস্তিগির’ সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিং। সিনেমাটির এখন সম্পাদনা চলছে। সিনেমাটি বাকি অংশের শুটিং আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এটি পরিচালনা করছেন শাহীন সুমন।