মিনিস্ট্রি অব লাভ: ভালোবাসা মন্ত্রণালয়ে কে কোন দায়িত্বে
‘সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ করিতেছি যে চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের একজন সুযোগ্য মিনিস্টার হিসেবে নিজের দায়িত্ব বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব। ভালোবাসার প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য প্রকাশ করিব; মিনিস্টার অব লাভ হিসেবে আমি কেবল ভালোবাসার গল্পের দিকেই নজর দেব,’ এভাবেই বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হোটেলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুন, রায়হান রাফী প্রমুখ দেশের শীর্ষ ১২ নির্মাতাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেন।
চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের আওতায় ১২টি প্রেমের সিনেমা নির্মাণ করছেন তাঁরা। প্রতিটি সিনেমায় নির্মাতাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেমের ছায়া থাকবে। নির্মাতাদের বলা হচ্ছে, ভালোবাসা মন্ত্রী। মন্ত্রীদের মুরব্বি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে ‘চিফ মিনিস্টার’ বলে ডাকছেন রেদওয়ান রনি, আশফাক নিপুনরা।
১২ সিনেমার মধ্যে ‘চিফ মিনিস্টার’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণ করছেন দুটি—‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি’। এর আগে ওটিটিতে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ সিরিজ নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ‘ঊনলৌকিক’, ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ নির্মাতা রবিউল আলম নির্মাণ করবেন ‘ফরগেট মি নট’। ‘মায়াশালিক’, ‘সিন্ডিকেট’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন’ স্বপন নির্মাতা শিহাব শাহীন হবেন ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ সিনেমার কান্ডারি। ‘উঁকি’ নির্মাণ করবেন ‘চোরাবালি’, ‘আইসক্রিম’ নির্মাতা রেদওয়ান রনি। ‘উই নিড টু টক’ নির্মাণ করছেন ‘মহানগর’ নির্মাতা আশফাক নিপুন। আরও আছে আবু শাহেদ ইমনের ‘অবনী’, রায়হান রাফীর ‘মুহাব্বাত’; শঙ্খ দাশগুপ্ত ও রাকা নোশিন নাওয়ারের ‘ফিফটি ফিফটি’; আরিফুর রহমানের ‘জুঁই’; রেজাউর রহমানের ‘থার্টি সিক্স-টোয়েন্টি ফোর-থার্টি সিক্স’ এবং অনম বিশ্বাসের ‘শোল্ডার ম্যান’।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, চিফ মিনিস্টার
‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিথির সামনে পুরো জাতির একটাই প্রশ্ন, বাচ্চা নেবেন কবে? হাজারও বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে অবশেষে তিথি ও তাঁর নির্মাতা স্বামী ফারহান যখন তাঁদের বাচ্চাকে স্বাগত জানান, তখন আসে নতুন আরেক প্রশ্ন।
‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি’
মনোগামিতে দৃঢ় বিশ্বাসী শাফকাত সাহেব অনুধাবন করেন, পারিপার্শ্বিক কিছু ঘটনা তাঁর সঙ্গে তামাশা করছে। তার ওপর লামিয়া নামের এক সহকর্মীর মাধ্যমে বিশ্বাসের পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
রবিউল আলম, মিনিস্টার
‘ফরগেট মি নট’
নোটবিহীন এক সুইসাইডের দায়ে অপরাধবোধে আক্রান্ত দুই নারীর ভালোবাসা ও হারানো স্মৃতি খোঁজার গল্প।
শিহাব শাহীন, মিনিস্টার
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
হাজার মাইল দূরে অবস্থানরত প্রেমিক-প্রেমিকার কষ্টের গল্প। দূরত্বের কারণে জমতে থাকা ক্লেদ, সন্দেহ, অবিশ্বাস, রাগ, ক্ষোভ, বিচ্ছেদ—সব মুহূর্তেই দূর হয়ে যায়, যখন তারা কাছে এসে একবার জড়িয়ে ধরে পরস্পরকে।
রেদওয়ান রনি, মিনিস্টার
‘উঁকি’
সালমান-রিটা দম্পতির পোস্টমডার্ন সংসারযাপন অন্ধের মতো অনুসরণ করেন গাড়িচালক কামাল। মস্তিষ্কে তখন ক্রমেই বিষাক্ত হতে থাকে সালমার সঙ্গে তাঁর মধুর সংসার। উঁকি দিয়ে দেখা সত্য খোলস পাল্টাতে থাকে।
আশফাক নিপুন, মিনিস্টার
‘উই নিড টু টক’
সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, অনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করার পর একদিন লায়লা আর মজনু আবিষ্কার করেন, তাঁদের সব কথা ফুরিয়ে গেছে। কথা–চালাচালির অদ্ভুত দোটানায় শুরু হয় এই যুগের লায়লা আর মজনুর চোরের মন পুলিশ পুলিশ খেলা।
আবু শাহেদ ইমন, মিনিস্টার
‘অবনী’
ভয়ংকর এক ঘটনা অবনীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, সদ্য জেগে ওঠা প্রেমেও বিচ্ছেদ ঘটে। কয়েক বছর পর নিয়তির টানে ভুতুড়ে সে অতীতের মুখোমুখি হয়ে আরও একবার দূরে সরে যাবে, নাকি অতীতের মুখোমুখি হবে অবনী?
রায়হান রাফী, মিনিস্টার
‘মুহাব্বাত’
ভালোবাসা সহজ। সেই সহজ ভালোবাসাই একটা জীবনের পাথেয় হয়ে ওঠে।
শঙ্খ দাশগুপ্ত ও রাকা নোশিন নাওয়ার, মিনিস্টার
‘ফিফটি ফিফটি’
কিছুটা শঙ্খ, বাকিটা রাকা; সিনেম্যাটিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাঁদের মধ্যকার প্রেম, কাজ আর জীবন নিয়ে আত্মোপলব্ধির গল্প।
আরিফুর রহমান, মিনিস্টার
‘জুঁই’
দমকা হাওয়ার মতো বিষণ্ন ভালবাসায় ভেসে যাওয়ার গল্প জুঁই।
রেজাউর রহমান, মিনিস্টার
‘থার্টি সিক্স-টোয়েন্টি ফোর-থার্টি সিক্স’
ওয়েডিং প্ল্যানার সায়রা মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার মতো ইভেন্ট করলেও একটি ওয়েডিং ইভেন্ট বদলে দেয় সায়রার জীবন। এটা কোনো রূপকথা নয়, এই গল্প রূপের কথার।
অনম বিশ্বাস, মিনিস্টার
‘শোল্ডার ম্যান’
শোল্ডার ম্যানের কাঁধ জানে এই শহরের মেয়েদের কষ্ট পাওয়ার গল্প।