সেই সিধু মুসেওয়ালার গান সরিয়ে দিল ইউটিউব থেকে
আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে ২৯ মে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা। আঙুল উঠেছিল গ্যাংস্টারদের দিকে। ইতিমধ্যে ওই খুনে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর পর মুক্তি পাওয়া তাঁর শেষ গান ‘এসওয়াইএল’। সম্প্রতি গানটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে রিলিজ হয়। এখন এই গানটিকে ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৩ জুন ইউটিউবে মুসেওয়ালার শেষ গান এসওয়াএল আপলোড হয় ইউটিউবে। অল্প সময়েই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। মাত্র তিন দিনে ২৭ মিলিয়ান ভিউ হয়েছে গানটির। কিন্তু এখন আর এই গানটি দেখা যাচ্ছে না। ওই গানের ভিডিওতে ভেসে উঠছে একটি বার্তা। সেখানে লেখা পাঞ্জাব সরকারের আইনি অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে এই ভিডিওটি দেখা যাবে না।
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গানের বিষয়টি বিতর্কিত তাই এটি এখন বিচারাধীন। তা ছাড়া আপত্তি তোলা হয়েছে গানটির ভিডিওতে দেখানো কিছু দৃশ্য নিয়েও। পাঞ্জাব সরকারের অভিযোগের আইনি চিঠি পাওয়ার পরই গানটি মুছে দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
মুসে ওয়ালার মৃত্যুর পর এই প্রথম মুক্তি পেল তাঁর গাওয়া গান। এর মধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এই গানটির বিষয়বস্তু নিয়ে। যেখানে পাঞ্জাবের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের জল সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। গানে বলা হয়েছে, সুবিচার না পেলে পাঞ্জাব তার জল কাউকে দেবে না। আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির এক দিন আগেই এটি প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল।
এ ছাড়া ভিডিওটিতে একাধিক বিতর্কিত ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। শুরুতে অবিভক্ত পাঞ্জাবকে দেখানো হয়। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার দৃশ্য ভেসে ওঠে। এ ছাড়া কৃষি আইনবিরোধী আন্দোলনে দিল্লির লালকেল্লায় শিখ পতাকা লাগানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই দৃশ্যও দেখা গেছে মিউজিক ভিডিওতে।
চলতি বছর নভেম্বর মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল পাঞ্চাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। আমনদীপ কৌরের সঙ্গে দুই বছরের প্রেমই বদলে যাওয়ার কথা ছিল পরিণয়ে। এপ্রিলে চার হাত এক হওয়ার কথা থাকলেও পাঞ্জাব নির্বাচনের কারণে সে সময় বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন জীবনে আর পা রাখা হলো না সিধুর। সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পরের দিনই খুন হন তিনি।