সুশান্তর মৃত্যুরহস্য তদন্ত করবে সিবিআই
অবশেষে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের ভার সিবিআইয়ের (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) হাতে এল। ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলিউডের এই তরুণ নায়ক। প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে এই মৃত্যুরহস্যের কোনো কিনারা করতে পারেনি মুম্বাই পুলিশ। তাই বারবার সব জায়গা থেকে তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবি ওঠে।
বিহার সরকারের আবেদন অনুযায়ী সুশান্তর আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, বিহার সরকারের হস্তক্ষেপে কেন্দ্র এই কেসটির দায়িত্ব সিবিআইকে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘রিয়া চক্রবর্তীও (সুশান্তর বান্ধবী) কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সিবিআইয়ের তদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন। রিয়া চক্রবর্তী আরও একটি আবেদন করেছিলেন। তা হলো তিনি সুশান্তের কেসটি পাটনা থেকে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর। সুপ্রিম কোর্ট তিন দিনের মধ্যে সব পক্ষের মতামত দাখিল করার কথা বলেছেন। সাত দিন পর সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ের ওপর শুনানি শোনাবেন।
সুশান্তের বাবা কে কে সিং বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাটনায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। কে কে সিংয়ের অভিযোগ, রিয়ার প্ররোচনায় সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন। তাই এই মামলার তদন্ত করতে পাটনা পুলিশ মুম্বাইতে এসেছিল। কিন্তু পাটনা পুলিশের অভিযোগ, তদন্তের কাজে মুম্বাই পুলিশ তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। পাটনা পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলার মূল দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস বিনয় তিওয়ারি। মুম্বাইতে এলে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর বিহার সরকার ও সুশান্তর পরিবার এই মামলার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার জন্য আওয়াজ তোলে। সুশান্তর বাবা কে কে সিং যে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের কেন্দ্রকে সুপারিশ ছিল। এদিকে রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের এ ধরনের সুপারিশ করার অধিকার নেই। সুশান্তর ভক্তরা শুরু থেকেই সিবিআই তদন্ত করুক, এটা চেয়েছিলেন।
১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া সুশান্ত পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তাঁর বড় চার বোন আছেন। ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে সুশান্তর। একই বছর মুক্তি পায় ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’। ২০১৬ সালে ‘ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ মুক্তির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সুশান্তকে। তাঁর অভিনীত শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’।