সুশান্তকে রিয়া গাঁজা সরবরাহ করতেন: চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রিয়া চক্রবর্তী, নেপথ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতকোলাজ

মাদক মামলায় নতুন করে জড়িয়ে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার সঙ্গে জড়িত মাদক মামলার এক বড়সড় অভিযোগ প্রকাশ করেছে।

এনসিবির দাবি, সুশান্ত সিংকে রিয়া আর তাঁর ভাই শৌভিক একাধিকবার গাঁজা সরবরাহ করেছেন। সম্প্রতি এনসিবি এনডিপিএস আদালতে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলার সঙ্গে জড়িত ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এক অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। গতকাল মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয়েছে।

রিয়া চক্রবর্তী

গতকাল এনসিবি খোলাসা করেছে, রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিকসহ সব অভিযুক্ত ব্যক্তি একে অপরের সঙ্গে মিলে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাঁরা বলিউডের বিভিন্ন তারকা এবং অভিজাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে মাদকদ্রব্য বিতরণ, বিক্রি ও সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন। এনসিবি আরও দাবি করেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মুম্বাইয়ে শুধু মাদক চোরাচালান করেননি, তাঁরা গাঁজা, কোকেন, চড়সের মতো নেশার দ্রব্য সেবনও করেছেন। অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আয় আর অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সব অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৭ ও ২৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ ও ২৯ ধারা অনুযায়ীও মামলা করা হয়েছে। এনডিপিএস আইন সম্বন্ধীয় মামলার রায় নেন বিশেষ বিচারক বিজি রঘুবংশী। তিনি ২৭ জুলাই এ মামলার রায় শোনানোর দিন ঘোষণা করেছেন। তার মানে পরবর্তী শুনানি ১৫ দিন পর হবে।

সুশান্ত সিং রাজপুত ও রিয়া চক্রবর্তী
ইনস্টাগ্রাম

এনসিবির অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, রিয়া চক্রবর্তী একাধিকবার অভিযুক্ত সাম্যুয়েল মিরান্ডা, শৌভিক, দিপেশ সাওন্তসহ অন্যদের কাছ থেকে গাঁজা কিনে তা সুশান্তকে সরবরাহ করেছেন। এনসিবির দাবি, রিয়ার ভাই শৌভিকের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। শৌভিক অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে থেকে মাদক কিনে তা সুশান্তর হাতে তুলে দিয়েছেন। এনসিবির অভিযোগ অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে সুশান্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এবং তাঁর কর্মচারীদের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।

রিয়া চক্রবর্তী
ইনস্টাগ্রাম

অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, সুশান্তর ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিটানি তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রয়াত বলিউড অভিনেতার জন্য মাদক কিনতেন। আর অ্যাকাউন্টে তা পূজার সামগ্রী হিসেবে দেখিয়েছে পিটানি। ২০২০ সালে সিদ্ধার্থ পিটানিসহ আর সব অভিযুক্ত ব্যক্তি সুশান্তর জন্য মাদকদ্রব্য কিনেছিলেন। তাঁরা সুশান্তকে আরও বেশি করে নেশাগ্রস্ত করে তোলার জন্য উসকানি দিতেন বলে এনসিবি অভিযোগ এনেছে। সুশান্ত আর শৌভিকের কথামতো রিয়া ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদকদ্রব্য সরবরাহকারীদের টাকা দিয়েছিলেন।