সালমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের আদেশ
বলিউড তারকা সালমান খানের জন্য মামলা, তদন্ত, আইনি জটিলতা—এসব তো এত দিনে ডালভাত হয়ে যাওয়ার কথা। একটা মামলা শেষ হয় তো নতুন আইনি মারপ্যাঁচে জড়ান তিনি। মুম্বাইয়ের এক সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় এবার আন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন সালমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে।
ঘটনা পাঁচ মাস আগের। বলিউড তারকা ও ‘সাইক্লিং লাভার’ সালমান খান মুম্বাইয়ের রাস্তায় গভীর রাতে সাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় অশোক পাণ্ডে নামের একজন টেলিভিশন সাংবাদিক জুহু থেকে কান্দিবলি যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ফটোসাংবাদিক সৈয়দ ইরফান। সালমান খানকে সাইকেল চালাতে দেখে তিনি মুঠোফোনে ভিডিও করতে শুরু করেন।
কেউ অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করছেন দেখে রেগে যান ভাইজান। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ সময় তিনি, একজন দেহরক্ষী আর অন্য আরেকজন মিলে অশোক পাণ্ডের কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেন। তাঁরা ওই টিভি সাংবাদিককে মারধর ও গালিগালাজ করেন। হুমকি দেন। শুধু তা-ই নয়, মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
অন্যদিকে, অশোক পাণ্ডে বারবার একই কথা বলে যাচ্ছেন। তিনি নাকি সালমান খানের দেহরক্ষীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ভিডিও করেছিলেন, ছবি তুলেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, বিচারের জন্য যা করার তা-ই করবেন তিনি। ডিএনএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অশোক পাণ্ডে জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁর অভিযোগপত্র নিচ্ছে না। অবশেষে আদালত পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। অশোক বলেন, ‘আমি জানতাম, পুলিশ আমাকে ফিরিয়ে দিলেও আদালত ফেরাবেন না। ডিএন নগর পুলিশ স্টেশন থেকে আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, আমার প্রধান আসামি সালমান খান।’
এর আগে অশোক সেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩২৩,৩৯২ ও ৫০৬—এই তিনটি ধারায় যথাক্রমে মারধর, ছিনতাই ও হুমকির অভিযোগে মামলা করতে গিয়েছিলেন। মামলার আসামিরা হলেন সালমান খান, তাঁর দেহরক্ষী গুরমিত সিং জলি ও নাম না-জানা তৃতীয় আরেকজন। অন্যদিকে, সালমান খানের এক মুখপাত্র ডেকান ক্রনিকলকে বলেছেন, ‘পুলিশ মামলা নেয়নি, তাই তিনি আদালতে গিয়েছেন, যাতে পুলিশ মামলা নেয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। আদালত শুধু বিষয়টি অদন্ত করে একটা প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।’