সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়েছেন, আইনি ঝামেলায় সালমান খান
বিতর্ক যেন সালমান খানের পিছু ছাড়ে না। আইনি ঝামেলায় প্রায়ই জড়িয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে একের পর এক আইনি মামলার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে। আবারও এক মামলার কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন তিনি।
২০১৯ সালে সালমানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছিলেন সাংবাদিক অশোক পান্ডে। এরই ভিত্তিতে সালমানকে সমন পাঠানো হয়েছে। সমনে বলা হয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। আদালত সালমানকে আইপিসির ধারা ৫০৪ ও ৫০৬ অনুযায়ী সমন পাঠিয়েছেন। অশোক পান্ডের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অপরাধে আবার আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। সালমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল।
অশোক পান্ডের অভিযোগ, এদিন জুহু থেকে কান্দিবিলি তিনি তাঁর চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। আর তখন তিনি সালমানকে রাস্তায় সাইকেলে চালাতে দেখেছিলেন। এই সাংবাদিক তখন সালমানের দেহরক্ষীদের কাছে তাঁর ভিডিও বানানোর অনুমতি চেয়েছিলেন। আর তাঁর দেহরক্ষীরা তাঁকে অনুমতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু সালমানের যখন নজরে পড়ে যে অশোক পান্ডে তাঁর ভিডিও বানাচ্ছেন, তখন তিনি হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। আর সালমানের নির্দেশমতো তাঁর দেহরক্ষীরা সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন, হাতাহাতি করেন। অশোক পান্ডে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, সালমান তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন। আর এই বলিউড তারকা তাঁকে মারধর করেছেন বলে অশোকের অভিযোগ।
পরে তিনি সালমানের বিরুদ্ধে আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অশোক পান্ডে এই অভিযোগও করেছেন যে পুলিশ তাঁর এই মামলার বিষয়ে কোনো তদন্ত করেনি।
সালমান খানকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিতে। এ ছবিতে সালমানের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভগ্নিপতি আয়ুশ শর্মা। ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তিনি জুটি বেঁধে আসতে চলেছেন ‘টাইগার থ্রি’ ছবিতে। এ ছাড়া তাঁকে দেখা যাবে ‘কাভি ঈদ কাভি দেওয়ালি’ ও ‘কিক টু’ ছবিতে।