শহিদের রান্না খেয়ে মুগ্ধ তাঁর স্ত্রী
কথায় বলে, কারও হৃদয়ে ঢোকার সহজ পদ্ধতি নাকি পাকস্থলী। অর্থাৎ, মানুষটাকে ভালো খাওয়ান, তিনি ঠিকই তাঁর হৃদয়ে আপনার জন্য জায়গা খালি করতে বাধ্য। বলিউড তারকা শহিদ কাপুরও তাই করলেন। স্ত্রীর জন্য রান্না করলেন পাস্তা। আর স্ত্রী মীরা রাজপুত যে খুশিতে বাগবাগ, তা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিই বলে দিচ্ছে।
২০১৫ সালের ৭ জুলাই বিয়ের পর গত পাঁচ বছরে মীরা রাজপুতের মহাব্যস্ত তারকা জীবনসঙ্গী এই কোয়ারেন্টিনে স্ত্রীর জন্য রান্নার সময় বের করেছেন। পাস্তা রেঁধেছেন। সেই পাস্তার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মীরা লিখেছেন, ‘পাঁচ বছরে এই প্রথম আমার জীবনসঙ্গী পাস্তা রাঁধল। আর বিশ্বাস করুন, এটিই আমার জীবনে খাওয়া সেরা পাস্তা।’ হ্যাশট্যাগে নো বায়াস লিখে এ–ও জানিয়েছেন, নিজের জীবনসঙ্গী বলে পক্ষ নিয়ে সাফাই গাচ্ছেন না। সত্যিই বড় পর্দার এই ‘কবির সিং’–এর রান্না খেয়ে তিনি মুগ্ধ।
১৪ বছর বয়সের পার্থক্যকে কাঁচকলা দেখিয়ে দিব্যি দুই সন্তান মিশা ও জৈনকে নিয়ে সুখের ঘর করছেন বলিউড তারকা শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। লকডাউন শুরুর আগে শহিদ কাপুর ‘জার্সি’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ব্যাট হাতে খেলতে গিয়ে মুখে মারাত্মক আঘাতও পান। মুখে ১৭টি সেলাই নিয়ে মাস্ক দিয়ে ঢেকে যতটা সম্ভব আলোকচিত্রীদের থেকে নিজেকে আড়াল করে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপর দ্রুত সুস্থ হয়ে নিজেই জানিয়েছেন সেই খবর। এর মধ্যেই সারা বিশ্বে শুরু হলো করোনার হানা। বাদ গেল না ভারতও। আর লকডাউন যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ২৫ বছর বয়সী স্ত্রী মীরার জীবনে।
‘শহিদের সময় নেই’—এটাই ছিল গত পাঁচ বছরে তাঁর সবচেয়ে বড় অভিযোগ। আর এখন শহীদ কাপুর নিয়মিত প্যানকেক বানিয়ে খাওয়াচ্ছেন। মীরা পায়ের ওপর পা তুলে বসে সেই প্যানকেকের জন্য অপেক্ষারত ছবিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। থালাবাটিও নাকি ধুচ্ছেন শহিদ। লকডাউনে যে এগুলো করবেন, প্রথমেই ভক্তদের সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ঘরে থেকে ঘরের কাজ করুন। পরিবারকে সময় দিন। লকডাউন হোক আপনার জীবনের সেরা সময়।’