লক্ষণ ছিল না, কোভিড পজিটিভ বলিউড অভিনেতার
আবারও করোনার হানা বলিউডে। এবার আক্রান্ত হলেন সুপরিচিত বর্ষীয়ান অভিনেতা কিরণ কুমার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মে অন্য কিছু শারীরিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য তিনি হাসপাতালে যান। কিন্তু সেই হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করানো হয়। এর পরই জানা যায় কোভিড পজিটিভ হয়েছেন কিরণ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলো সূত্রে আরও জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ কোভিডের কোনো লক্ষণ প্রবীণ এ অভিনেতার মধ্যে দেখা যায়নি। তাই ভারতের সরকারি নির্দেশিকা মেনে আপাতত বাড়িতেই কোয়রেন্টিনে রয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমার শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি। আমার পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ তারিখ, পরে জানতে পারি টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ। কিন্তু জ্বর, কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত কোনো রকম সমস্যা নেই আমার। আমি একদম ঠিক রয়েছি এবং বাড়িতেই আছি বিগত ১০ দিন। এখন পর্যন্ত কোনো রকম লক্ষণ দেখছি না।’ ৭৪ বয়সী এ অভিনেতা আরও জানান, ‘আমি তৃতীয় তলায় থাকছি, আমার পরিবার দোতলায় থাকে। আমি একাই রয়েছি। বলতে পারেন বোর্ডিং স্কুলের দিনগুলো আমি ফিরে পেয়েছি, সব কাজ একা হাতে করছি। আপাতত একদম সুস্থ রয়েছি।’ জানা গেয়েছে আগামী দু-তিন দিনে আবার কিরণ কুমারের করোনা পরীক্ষা করা হবে।
প্রয়াত অভিনেতা জীবন কুমারের ছেলে কিরণ কুমার। রুপালি পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। ‘মিলি’, ‘ছজ্জে ছজ্জে কা প্যায়ার’, ‘গৃহস্তি’, ‘জিন্দেগি’র মতো ধারাবাহিকে দেখা মিলেছে তাঁর। এ ছাড়া ‘মুঝসে দোস্তি করোগে’, ‘জুলি’, ‘ধারকান’-এর মতো বলিউডে ফিল্মে অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন কিরণ কুমার।
বলিউডে করোনার থাবা এই প্রথম নয়, এর আগেও মহামারি করোনার শিকার হয়েছেন সংগীতশিল্পী কণিকা কাপুর, প্রযোজক করিম মোরানি, অভিনেত্রী জোয়া মোরানি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সপরিবারে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা পূরব কোহলিও।
শিল্পীদের পাশাপাশি বলিউডের বিশাল বাজারেও থাবা বসিয়েছে করোনা। করোনার সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ভারতের প্রেক্ষাগৃহ। মুক্তি পায়নি কোনো ছবি। গত ১৯ মার্চ থেকে ভারতে সিনেমা, টেলিভিশন ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজের শুটিং বন্ধ। ব্যয়বহুল শুটিং সেটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে সমগ্র ভারতের বিনোদনমাধ্যম।
করোনার কারণে সবার আগে ক্ষতির মুখ দেখেছে ‘বাগি থ্রি’ ও ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবি দুটি। টাইগার শ্রফের বাগি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাই এই ছবি থেকে নির্মাতারা অনায়াসে ১৫০ কোটি রুপি আয়ের আশা রেখেছিলেন। কিন্তু করোনা তাঁদের সব আশায় পানি ঢেলে দেয়। অন্যদিকে ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবিটি থেকেও ভালো আয়ের আশা ছিল নির্মাতা ও প্রযোজকের। কারণ, ‘হিন্দি মিডিয়াম’-এর মতো সফল ছবির সিকুয়েল এটি। করোনার কারণে সব ধরনের শুটিং বন্ধ এক মাসের বেশি সময় ধরে। ফাঁকা পড়ে আছে শুটিং সেট। এ কারণে বেশ কিছুর ছবির দামি সেট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।