সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে নতুন নতুন রহস্যের জট খুলছে। মৃত্যুর তদন্তের জেরে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বলিউড তারকার নাম উঠে আসছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) তদন্তে উঠে এসেছে, মাদক-কাণ্ডে বিটাউনের অনেক রাঘববোয়ালের নাম।
ইতিমধ্যে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিকসহ আরও অনেককে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। ব্যুরোর তদন্তে সারা আলী খান, রাকুল প্রীত সিং, পরিচালক মুকেশ ছাবড়া, ডিজাইনার সিমোন খামবাটার নাম উঠে এসেছে। এবার জানা গেছে, সারা, রিয়ার সঙ্গে শ্রদ্ধাও সুশান্তের ব্যক্তিগত পার্টিতে হাজির থাকতেন।
সুশান্তের লোনাভোলা ফার্মহাউসের অনেক কীর্তিকলাপ উঠে আসছে এনসিবির তদন্তের মাধ্যমে। এই ফার্মহাউসের ব্যবস্থাপক রইস এবং স্থানীয় নৌকাচালক জগদীশ দাস সুশান্তের জীবনের বেশ কিছু অন্ধকার দিক তুলে ধরেছেন। স্থানীয় নৌকাচালক জগদীশ দাস এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, সুশান্ত এক দ্বীপে গিয়ে প্রায়ই পার্টি করতেন।
আর এই পার্টিতে উপস্থিত থাকতেন সারা আলী খান, রিয়া চক্রবর্তী, শ্রদ্ধা কাপুরসহ সুশান্তের ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু। জায়েদ বিলাত্রার মতো কুখ্যাত ড্রাগ সরবরাহকারীও এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন। এই নৌকাচালকের দাবি, এসব পার্টিতে সাধারণত গাঁজা আর মদের আসর চলত। এনসিবি এখন লোনাভোলায় গিয়ে মাদক-সম্পর্কিত আরও নানা তথ্য খুঁড়ে বের করেছে। সম্প্রতি এই সংস্থা সুশান্তের লোনাভোলা ফার্মহাউসে গিয়ে তল্লাশি চালায়।
লোনাভোলা ফার্মহাউসের ম্যানেজার রইস বেশ কিছু অবাক করা তথ্য ফাঁস করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে রইস এই ফার্মহাউসের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। এনসিবিকে তিনি বলেছেন, সুশান্ত তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবসহ সারা আর রিয়ার সঙ্গে এখানে পার্টি করতেন। এই পার্টিতে স্মোকিং কাগজ ব্যবহার করা হতো। রইস আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে সুশান্ত সপ্তাহে একবার বা দুবার ফার্মহাউসে আসতেন।
সারা আলী খান ও রিয়া চক্রবর্তীর এখানে আসার কথাও জানান রইস। এই ব্যবস্থাপকের বক্তব্য, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পুরো দল উপস্থিত থাকত এসব আসরে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সুশান্ত এই ফার্মহাউসে রিয়ার জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন। রিয়া ছাড়া তাঁর ভাই শৌভিক এবং তাঁর মা-বাবাও উপস্থিত ছিলেন।