যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেশে ফিরেছেন মাধুরী
বলিউড তারকাদের পাশাপাশি তাঁদের সন্তানেরা প্রায় সমানভাবে আলোচনায় উঠে আসেন। তাঁদের ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা তারকা সন্তানদের পেছনে হরহামেশাই ধাওয়া করে। তবে এ ক্ষেত্রে সফল বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। গণমাধ্যম বা পাপারাজ্জিদের নজর থেকে তিনি নিজের দুই পুত্রসন্তানকে আগলে রেখেছেন।
১৯৯৯ সালে চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেছিলেন মাধুরী। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াতে হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। মাধুরী দুই পুত্রসন্তান আরিন আর রয়ানের জন্ম দিয়েছিলেন। মার্কিন মুলুকে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন এ অভিনেত্রী। তবে একদিন সবকিছু ছেড়ে সপরিবার নিজের দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
দেশে ফিরে আসা প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সিদ্ধান্ত ছিল। আর আমরা এ নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলাম। আমার অভিভাবকদের বয়স বাড়ছিল। আর তারা নিজেদের দেশের মাটিতে ফিরে আসতে চাইছিল। তারা কোনোমতেই আর বিদেশে থাকতে চাইছিল না। আমি মনে করি, এ সিদ্ধান্ত আমার সন্তানদের জন্য ভালোই হয়েছে। কারণ, তারা এ দেশে এসে দেখেছে, মানুষ কীভাবে এখানে বাঁচে। যুক্তরাষ্ট্রে তারা এক বলয়ের মধ্যে বড় হচ্ছিল। তারা আসল জীবনকে জানত না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বাইরের জগতে কী ঘটছে, তা সম্পর্কে রয়ান আর আরিন কিছুই জানত না। কিন্তু ভারতে আসার পর তারা উপলব্ধি করল যে এখানে এক অনেক বড় জগৎ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে এখানে নিজের মতো বাঁচে।’
প্রচারের আলো থেকে নিজের দুই সন্তানকে কয়েক শ মাইল দূরে রেখেছেন মাধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাইনি গণমাধ্যম আমাদের সন্তানদের আশপাশে আসুক। গণমাধ্যমের নজর থেকে আমরা তাদের দূরে রাখার প্রয়াস করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যে আমাদের দুই সন্তান নিজস্ব ছন্দে আর স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে উঠুক। আর আমি চেয়েছিলাম তারা যা করতে চায়, তা-ই যেন করুক। আমি খুব খুশি যে আমরা এসব বজায় রাখতে পেরেছি।’
মাধুরীকে সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের থ্রিলারধর্মী ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ফেম গেম’-এ দেখা গেছে। সিরিজটি ঘিরে সবার অনেক প্রত্যাশা ছিল। আর মাধুরী সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।
এই বলিউড রূপসী বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা সত্যি খুব কঠিন কাজ। কারণ, আমার জানা নেই মানুষ আমার থেকে কী কী প্রত্যাশা করছেন। তবে আমি যখন কোনো ছবিতে স্বাক্ষর করি, তখন আদ্যোপান্ত আমার চরিত্র নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি।’ মাধুরী আরও বলেন, ‘এই যেমন ধরুন, আমাকে শেষ দেখতে পেয়েছেন “অনামিকা আনন্দ”-এর চরিত্রে। আমি তখন শুধুই অনামিকাকে নিয়ে ভেবেছি। সারাক্ষণ ভাবতে থাকতাম কীভাবে পর্দায় অনামিকা আনন্দ হয়ে উঠব। আমার থেকে মানুষের প্রত্যাশা থাকে বলেই আমি তা করি না। আমি যখন সেটে থাকি, তখন আমি আমার চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকি। আর আমি আমার সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর দর্শক তা-ই পর্দায় দেখেন।’