বিপদের মুখে 'স্যাক্রেড গেমস টু'?
বিনোদনের দুনিয়ায় ডিজিটাল মাধ্যম ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও হটস্টারের বাজার এখন রমরমা। দর্শক দারুণ পছন্দ করছে এই ডিজিটাল মাধ্যমগুলো। তবে এবার নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, হটস্টারপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আর এর কোপ পড়তে পারে ‘স্যাক্রেড গেমস টু’ সিরিজের ওপর।
ডিজিটাল মাধ্যমে সিনেমা আর ওয়েব সিরিজে সেন্সরের কাঁচির কোনো ভয় নেই। তাই নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, হটস্টারের ওয়েব সিরিজ আর সিনেমায় ভরপুর গালি আর অশ্লীল দৃশ্য খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনোদনজগতের মানুষজন মনে করছেন, শিল্পের বহিঃপ্রকাশের জন্য প্রয়োজন উন্মুক্ত আঙিনার। কোনো শিল্পীর সৃষ্টিকে কাটাছেঁড়া করা ঠিক নয়। তাই ছবির পরিচালকেরা তাঁদের শিল্পীসত্তাকে খোলাভাবে মেলে ধরতে বেছে নিয়েছেন এই ডিজিটাল আঙিনাকে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর এই দৌরাত্ম্যকে অনেকে মেনে নিচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, এই ডিজিটাল মাধ্যমগুলো লাগামহীন হওয়ায় সমাজের ওপর এটি খারাপ প্রভাব ফেলছে।
একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে সরব হয়। কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠানটি দিল্লি হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে আবেদন জমা দেয়। তবে আদালত তা খারিজ করে দেন। এবার সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের জন্য অনতিবিলম্বে নীতিমালা তৈরির জন্য বলেছেন। দেশের এই সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, ডিজিটাল মাধ্যমগুলো যেন নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থাকে।
এর আগে আরও একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের ওপর আপত্তি জানিয়ে আবেদন জানায়। আবেদনপত্রে লেখা হয়, ‘নিয়ন্ত্রণের অভাবে এই ডিজিটাল মাধ্যমগুলো কাউকে ভয় না পেয়ে অশ্লীল বিষয় পরিবেশন করছে। পাশাপাশি ধর্ম এবং নৈতিকতাকে নিয়ে ছেলেখেলা করা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
ডিজিটাল এই যুগে বিনোদনের জন্য হটস্টার, নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন প্রাইমের ওপর এখন অনেকেই নির্ভরশীল। কারণ এসব প্ল্যাটফর্মের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনোদনমূলক ছবি আর ওয়েব সিরিজ বানানো হচ্ছে।
বলিউড তারকা সাইফ আলী খান ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সুপারহিট ওয়েব সিরিজ ‘স্যাক্রেড গেমস’-এর নতুন সিজন শিগগিরই আসছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ও হটস্টারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বিপদের মুখে পড়বে ‘স্যাক্রেড গেমস টু’। কারণ, এই ওয়েব সিরিজের প্রথম ভাগে অনেকগুলো আপত্তিকর দৃশ্য ছিল। তাই এর দ্বিতীয় ভাগে এ ধরনের দৃশ্য থাকার সম্ভাবনা আরও বেশি।