বাবা ২০০ কোটি টাকার মালিক, তবু অর্থসংকটে শ্রুতি
শুধু সাধারণ মানুষের ওপরেই করোনার প্রভাব পড়েনি, তারকাদের জীবনও নানাভাবে বিপর্যস্ত এই মহামারিতে। এমনকি অনেক তারকাই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। অনেকেই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কাজে নেমে পড়তে চান। দক্ষিণ ভারতীয় তামিল তারকা কমল হাসানের কন্যা শ্রুতি হাসানের অবস্থাও তেমনই। তাঁর ভাষ্য, এই সময়ে কাজ রেখে বাসায় বসে থেকে মা–বাবার ওপরে নির্ভরশীল হতে পারছেন না তিনি।
করোনাভাইরাস ভালোভাবেই প্রভাব ফেলেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এখন বেশ কিছু রাজ্যে ছবির শুটিং বন্ধ। এ কারণে বেশ সমস্যায় পড়েছেন শ্রুতি হাসান। করোনার এই ভয়াবহতার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবারও শুটিং শুরু করতে চান এই তারকাকন্যা। কাজে ফিরতে ইচ্ছুক তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে এর কারণ খুলে বলেছেন শ্রুতি। তিনি জানিয়েছেন, কাজে ফেরা তাঁর জন্য খুবই জরুরি। ঘরে বসে এই মহামারি শেষ হওয়ার অপেক্ষা শ্রুতি করতে পারবেন না। এই দক্ষিণি নায়িকা বলেন, ‘করোনার এই সময়ে কাজ করা সত্যি ভয়ংকর। তবে আমার নিজের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি আমার মা–বাবার ওপরে নির্ভরশীল হতে পারি না। আমি এই ভয়াবহতার মধ্যেই কাজে ফিরতে চাই। শুটিং শুরু করতে চাই। কারণ, আমি আর্থিক সমস্যার মধ্যে আছি।’
জানা গেছে, কমল হাসান ১৭৬ কোটি রুপির মালিক, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তবু বাবার কাছে হাত পাততে রাজি নন শ্রুতি। তিনি বলেছেন, ‘আমার কাঁধে বেশ কিছু দায়িত্ব আছে। আমাকে সাহায্য করার জন্য মা–বাবা আমার পাশে নেই।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে শ্রুতি তাঁর থাকার জন্য একটা বাড়ি কিনেছেন। তিনি পরিবারের থেকে আলাদা থাকেন। তাই আরও বেশি আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন এই দক্ষিণি তারকা। এ প্রসঙ্গে শ্রুতি বলেছেন, ‘আমাকে বাড়ির জন্য ঋণ নিতে হয়েছে। আমাকে মাসিক কিস্তি দিতে হয়।’
শ্রুতি হাসানের হাতে এখন বেশ কয়েকটি ছবি আছে। তেলেগু ছবি ‘পিট্টা কাথালু’তে দেখা যাবে তাঁকে। এ ছাড়া রাজনৈতিক থ্রিলারধর্মী তামিল ছবি ‘লাবাম’-এ অভিনয় করছেন তিনি। প্রভাসের সঙ্গে শ্রুতিকে ‘সালার’ ছবিতেও দেখা যাবে।