প্রথম কেমো নিয়ে শুটিংয়ে ফিরলেন সঞ্জয় দত্ত
বলিউড সুপারস্টার সঞ্জয় দত্তের ক্যানসারে আক্রান্ত খবরের পর রীতিমতো ভেঙে পড়েছে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। আগস্ট মাসে তাঁর অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসে। তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান খবর প্রায়ই নেট দুনিয়ার চর্চায় উঠে আসছে। এমনকি এ খবরও উঠে এসেছে যে সঞ্জয় দত্তের হাতে সময় কম। আর তিনি ক্যানসারের অন্তিম স্টেজের সঙ্গে লড়াই করছেন। এই মুহূর্তের খবর অনুযায়ী, এই বলিউড সুপারস্টার আবার শুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন।
মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে সঞ্জয় দত্তের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। তাঁর স্ত্রী মান্যতা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছিলেন। এখন জানা গেছে, সঞ্জয়ের ক্যানসারের প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা শেষ হয়ে গেছে। নিয়েছেন প্রথম কেমো।
এখন কিছুদিন বিরতিতে থাকবেন তিনি। এরপর তাঁর ক্যানসারের দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা শুরু হবে। আর এই চিকিৎসাপদ্ধতি বেশ দীর্ঘ বলে জানা গেছে। তবে এই বিরতিতে মোটেও বিশ্রাম নিতে প্রস্তুত নন সঞ্জয় দত্ত। তিনি তাঁর হাতের কাজগুলো ঝটপট শেষ করতে চান। তাই আবার শুটিং ফ্লোরে ফিরেছেন সঞ্জয়।
এই বলিউড নায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি তাঁর সব কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করবেন। সবার আগে যশরাজ ফিল্মসের ‘শমশেরা’ ছবির কাজ করবেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আবার সঞ্জয়ের চিকিৎসা শুরু হবে। জানা গেছে, থেরাপি সেশনের পর অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন তিনি। ‘শমশেরা’ যশরাজ ব্যানারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ছবিতে সঞ্জয় দত্ত ছাড়া রণবীর কাপুর এবং বানী কাপুরও আছেন।
কিছুদিন আগে খবর বেরিয়েছিল, চতুর্থ স্টেজের ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন সঞ্জয় দত্ত। এই খবরকে বন্ধু ও চিত্রনির্মাতা রাহুল গুজব বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এইসব খবর একদম ভুলভাল। মুম্বাইতে সঞ্জয়ের ক্যানসারের শুরুর দিকের চিকিৎসা হচ্ছে। এখনো কিছু রিপোর্ট আসা বাকি আছে। ও প্রকৃত যোদ্ধা। আর অবশ্যই জয়ী হয়ে ফিরবে। আর আবেগের বশে এসব কথা বলছি না। এটা প্রকৃত সত্য। অনুগ্রহ করে অনুমান করা বন্ধ করুন। সত্যি যদি কিছু করতে চান তো ওর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য প্রার্থনা করুন।’
গুঞ্জন উঠেছিল সঞ্জয় চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, ‘আমাদের এখানেই সেরা চিকিৎসকেরা আছেন। আর ওর চিকিৎসা ভারতেই হতে পারে। তাহলে দেশের বাইরে কেন যাবে? এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য সঞ্জয়কে কোথাও যেতে হবে না। চিকিৎসায় ও ভালো সাড়া দিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে দেশের বাইরে যেতে পারে।’