চলচ্চিত্র, নাটক দুই মাধ্যমেই সফল অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। কিন্তু কোন মাধ্যমকে এগিয়ে রাখবেন তিনি? বলিউডের পরিচিত এই অভিনেতাকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিলে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই নাটক৷ চলচ্চিত্রের একবার শুটিং আর সম্পাদনা হয়ে গেলেই কাজ শেষ৷ চাইলেই আর বদলানো যায় না। এটাই হলো চলচ্চিত্রের বড় সীমাবদ্ধতা৷ তাই আমার কাছে থিয়েটার সব সময়েই চলচ্চিত্রের আগে।’ করোনার নতুন স্বাভাবিকে তিনি পেলেন বড় দায়িত্ব।
ভারতের স্বনামধন্য থিয়েটার ট্রেনিং স্কুল ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’র চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হয়েছেন পরেশ রাওয়াল। ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বৃহস্পতিবার টুইট করে এ খবর জানানো হয়। মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল টুইটে পরেশ রাওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও পরেশ রাওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরেশ রাওয়ালের জ্ঞান থেকে আলোর পথ পাবেন অন্য অভিনেতা ও শিক্ষার্থীরা।’ এনএসডি-প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউডের অনেক তারকা।
লোকসভার সাবেক সাংসদ ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা পরেশ জানান, এ দায়িত্ব খুবই চ্যালেঞ্জিং, তবে একই সঙ্গে খুব আনন্দের। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বলিউডে কাজ করছেন। অসংখ্য হিট ছবির অভিনেতা তিনি। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারও। ১৯৯৪ সালে সেরা সহ–অভিনেতা হিসেবে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। বিনোদন জগতে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটারেও সমান সক্রিয় পরেশ রাওয়াল। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতা বলেন, ‘থিয়েটার বরাবরই আমার প্রথম প্রেম। মঞ্চে অভিনয়ের তাগিদ আমার কাছে বরাবরই আলাদা। যে দর্শকেরা থিয়েটারের তাৎপর্য বোঝেন, নাটক দেখতে আসেন, তাঁদের জন্য অভিনয় করতে পারাটাও আমার কাছে আনন্দের বিষয়।’
ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার সুনাম রয়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের অনেক নাট্যব্যক্তিত্ব এ প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এসে দেশে কাজ করছেন। ১৯৫৯ সালে সংগীত নাটক একাডেমি অভিনয় শেখার এই স্কুল গড়ে তোলে। ১৯৭৫ সালে এটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে শুরু করে। এর আগে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন ড. অর্জুন দেও।