পরস্পরকে দুষছেন সুশান্তের প্রেমিকারা
‘অঙ্কিতা লোখান্ডে সুশান্তের অতীত। গত চার বছর তাঁদের কোনো যোগাযোগই ছিল না। অথচ সুশান্তের মৃত্যুর পর তিনি একের পর এক বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। কেন? আলোচনায় আসার জন্য? এই অঙ্কিতা এখনো বাস করছেন সুশান্তের কেনা বাড়িতে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে বাড়ির ট্যাক্স দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘মিড ডে’কে এক ভিডিও ইন্টারভিউতে কথাগুলো বলেছেন সুশান্তের শেষ প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর প্রথমবারের মতো কোথাও সচিত্র কথা বললেন তিনি।
রিয়া চক্রবর্তীর দাবি, মাদকাসক্ত ছিলেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত। আর এর পেছনে তাঁর কোনো দায় নেই। যদিও খবর বেরিয়েছে, বলিউডের মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রিয়ার। সুশান্তের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসার পর এক মাদক সরবরাহকারীকেই প্রথম ফোন করেছিলেন রিয়া। এ ছাড়া একাধিক ড্রাগ ডিলারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন মুছে ফেলেন তিনি।
‘সুশান্তের ক্লাস্টোফোবিয়া আছে। সে জন্য নিয়মিত মোডাফিনিল খেত সে। একজন মৃত মানুষ সম্পর্কে এসব বলা ঠিক না। কিন্তু সত্যি হলো, সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিল আর দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল।’
রিয়া জানান, ক্লাস্টোফোবিয়া (বদ্ধ জায়গাভীতি) ছিল সুশান্তের। তাই বিমানে চড়ার আগে ওষুধ খেতে হতো তাঁকে। শোনা যাক রিয়ার ভাষ্যে। ‘ইউরোপ ঘুরে ফেরার পথে জানতে পারলাম, সুশান্তের ক্লাস্টোফোবিয়া আছে। সে জন্য নিয়মিত মোডাফিনিল খেত সে। একজন মৃত মানুষ সম্পর্কে এসব বলা ঠিক না। কিন্তু সত্যি হলো, সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিল আর দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল। ২০১৩ সাল থেকেই সে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, এমনকি তার হ্যালুসিনেশনও হতো।’
গত ৮ জুন সুশান্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞ ডাকিয়েছিলেন রিয়া। তারপর সুশান্তের আটটি হার্ডডিস্কের তথ্য নষ্ট করেছেন। কী ছিল হার্ডডিস্কগুলোতে? প্রশ্ন পছন্দ না হলে যেভাবে উত্তর দেন, সেভাবেই উত্তর দিয়েছেন রিয়া। বলেছেন, ‘জানি না।’ একই উত্তর দিয়েছেন সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ১৫ কোটি রুপি নিয়েও। যদিও সুশান্তের মৃত্যুর পর সুশান্তের ডেবিট কার্ড দিয়ে বিল পরিশোধও করেছেন তিনি।
এসব শুনে বেজায় চটেছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। অল্প কথায় সমুচিত জবাবও দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমান চালাচ্ছেন সুশান্ত। অঙ্কিতা লিখেছেন, ‘সুশান্তের বিমান চালানোর স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন সে পূরণও করেছিল। এর নাম ক্লাস্টোফোবিয়া?’
সেখানেই শেষ নয়। বাড়ির দলিল ও ট্যাক্সের কাগজসমেত টুইট করে অঙ্কিতা দেখিয়েছেন, যে বাড়িতে তিনি থাকছেন, সেটি তাঁর নিজেরই বাড়ি আর সব বিল তিনিই দিতেন। প্রথম সাক্ষাৎকার থেকেই অঙ্কিতা বলে আসছেন, সুশান্তের সঙ্গে যত দিন তিনি ছিলেন, তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ আর স্বাভাবিকই দেখেছেন।