নিজেকে অপরাধী ভাবেন দীপিকা
১০ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া ভারতের প্রথম নারী অভিনয়শিল্পী দীপিকা পাড়ুকোন। ‘গলিও কি রাসলীলা: রামলীলা’ ছবিতে দীপিকা পেয়েছিলেন এক কোটি রুপি। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিতে সেই অঙ্কটা গিয়ে পৌঁছায় সাত কোটি রুপিতে। আর ‘পদ্মাবতী’ ছবির জন্য দীপিকা নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৫ লাখ রুপি। এই অঙ্ক তাঁর ‘পদ্মাবতী’ ছবির সহকর্মী, তৎকালীন প্রেমিক ও বর্তমান জীবনসঙ্গী রণবীর সিংয়ের চেয়ে বেশি!
২০১৬ সালে নারী অধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘দীপিকা পাড়ুকোন “পিকু” ছবিতে আমার থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন। নিশ্চয়ই এই ছবিতে তিনি আমার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এমনটাই হওয়া উচিত।’
শোনা গেছে, খানেরা ছবি করলেই নাকি হিট। অথচ এক যুগের বলিউডি জীবনে দীপিকা পাড়ুকোন উপহার দিয়েছেন ১০০ কোটির ক্লাবে যাওয়া আটটি চলচ্চিত্র। এখন কেবল খানেরা নন, ছবি হিটের অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে ধরা হচ্ছে দীপিকা পাড়ুকোন। তিনিই এখন বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনয়শিল্পী। গত বছর টাইম ম্যাগাজিনের এক জরিপে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় উঠে আসে দীপিকার নাম।
দীপিকার পারিশ্রমিকের চেকের অঙ্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। সম্প্রতি ই-টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দীপিকা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নারী অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁর নিজেকে ‘অপরাধী’ মনে হয়।
কেন? কারণ তিনিই প্রথম নন, যিনি নারী, পুরুষের পারিশ্রমিকের বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন। আরও অনেক নারী তারকা একই পরিশ্রম করে কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। দীপিকার মতে, ‘অসংখ্য নারী অভিনয়শিল্পী তাঁদের শ্রমের চেয়ে কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।’
দীপিকা বলেন, ‘নারী আর পুরুষের মজুরি–বৈষম্যের চর্চা আরও বেশি করে হওয়া উচিত।’
কবির খান পরিচালিত ‘এইটি থ্রি’ ছবিতে কপিল দেবের স্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি ১৪ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন। আর পর্দার কপিল দেব, তাঁর জীবনসঙ্গী রণবীর সিং।
দীপিকাকে এরপর দেখা যাবে মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘ছপাক’ ছবিতে। অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার লক্ষ্মী আগারওয়ালের বায়োপিকে। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাবে।