নতুন মিস ইউনিভার্সকে সাবেকদের অভিনন্দন
২০০০ সালে মিউ ইউনিভার্স হয়েছিলেন বলিউড তারকা পাঞ্জাবের মেয়ে লারা দত্ত। এরপর কেটে গেল অনেক বছর। ২১ বছর পর ভারত আবার একজন মিস ইউনিভার্স পেল। তিনিও ভারতের পাঞ্জাবের মেয়ে হারনাজ সান্ধু। নতুন এ মিস ইউনিভার্সকে অভিনন্দন জানালেন সাবেক সুন্দরী লারা দত্ত ও সুস্মিতা সেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ইসরায়েলের এইলাটে বসেছিল ৭০তম মিস ইউনিভার্সের আসর। সেখানেই প্যারাগুয়ের নাদিয়া ফেরেইরা ও দক্ষিণ আফ্রিকার লালেলা এমএসওয়ানেকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট ছিনিয়ে নেন পাঞ্জাবের ২১ বছরের তরুণী হারনাজ। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন নাদিয়া ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন লালেলা।
নতুন মিস ইউনিভার্সকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের সাবেক মিস ইউনিভার্স লারা দত্ত এক টুইটে লিখেছেন, ‘সুন্দরীদের ক্লাবে তোমাকে স্বাগতম। আমরা দীর্ঘ ২১ বছর অপেক্ষা করেছি। তুমি আমাদের অনেক অনেক গর্বিত করলে। কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো।’ সুস্মিতা সেন লিখেছেন, ‘হার হিন্দুস্তানি কি নাজ, হারনাজ কৌর সান্ধু। তোমাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। অভিনন্দন। ভারতকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। তোমার সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি।’
হারনাজ চণ্ডীগড়ে মডেলিং ও অভিনয় করেন। বেশ কয়েকটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে মিস চণ্ডীগড় হওয়ার মধ্য দিয়ে এই অঙ্গনে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তিনি মিস ইন্ডিয়া পাঞ্জাব ও মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১২-তে অবস্থান করছিলেন। চলতি বছর মিস ডিভা ইউনিভার্স ইন্ডিয়া হয়েছিলেন তিনি।
শিখ পরিবারের মেয়ে হারনাজ। পারিবারিকভাবেই যোগব্যায়াম ও ফিটনেসের ব্যাপারে তাঁর রয়েছে বিশেষ মনোযোগ। অভিনয় ছাড়াও গান, নাচ, সাঁতার, ঘোড়ায় চড়া ও রান্নার কাজগুলোতে তাঁর রয়েছে বিশেষ পারদর্শিতা। পাঞ্জাবি ও হিন্দি ছাড়াও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হারনাজ। মাতৃভাষায় কবিতা লিখতে ভালোবাসেন তিনি। তাঁকে এর আগে একটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে। হারনাজ অভিনীত দুটি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে আগামী বছর।
হারনাজের বাবা গুরুচরণ সিং সান্ধু, অমৃত কৌর সান্ধু। হারনাজের জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা। দীর্ঘ পিতৃতান্ত্রিক প্রথা ভেঙে তাঁর মা সংসারের হাল ধরেছিলেন। হয়েছিলেন একজন সফল গাইনি চিকিৎসক। হারনাজ এখন লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে হারনাজ লিখেছিলেন, ‘মা আমার স্বপ্নের নির্মাতা, সেই স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুপ্রেরণাও তিনি।’