দক্ষিণী তকমা নয়
সারা ভারতে তাঁদের পরিচিতি, জনপ্রিয়তা। এমনকি কখনো কখনো ভারতের বাইরেও তাঁদের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যায়। তবু তাঁদের শরীর থেকে ‘দক্ষিণী’ তারকার তকমা মুছে যায় না। বাহুবলী ছবির কথাই ধরা যাক। প্যান ইন্ডিয়ান এই ছবি ভারতজুড়ে আলোড়ন তুললেও ছবির তারকা প্রভাস পরিচিত হন দক্ষিণী তারকা হিসেবেই। এবার এর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অদিতি রাও হায়দারি।
‘কেন আমাকে এই বাক্সবন্দী হতে হবে? আমি বাক্সবন্দী হতে চাই না।’— হায়দারির মত। তিনি আরও বলেন, ‘যদি হিন্দি ছবির দর্শকেরা অভিনেতা হিসেবে আমাকে ভালোবাসেন এবং গ্রহণ করেন, পাশাপাশি তামিল, তেলেগু ও মালয়ালম দর্শকেরাও আমাকে ভালোবাসেন এবং গ্রহণ করেন, তাহলে কেন আমি বলব না—আমাকে সবাই ভালোবাসেন? আমি পুরো ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির। আমি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করব।’
অদিতি মনে করেন, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তিনি গল্প বলে যান। সেখানে থাকে অনুভূতি। আর অনভূতির কোনো আলাদা ভাষা নেই। গত দুই বছরে ভাষার প্রতিবন্ধকতাকে ছাপিয়ে গেছে ভারত। সারা বিশ্বের কনটেন্ট তারা নিচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে। অদিতি বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দর্শকেরা কনটেন্ট দেখছেন। তাঁরা ভাবছেন না যে এটা কোন ভাষার। তাঁরা কেবল একটি গল্প দেখছেন। আমার ক্ষেত্রে আমি আগে বলেছি, আমি সব সময়ই মনি রত্নমের নায়িকা হতে চেয়েছি। আমি ভাবতাম, যদি শুধু তামিল ছবি করি, তাহলেই এটা সম্ভব হবে। কিন্তু যখন তাঁর সঙ্গে আমি কাজ করলাম, আমি বুঝলাম, আসলে কারও সঙ্গে কাজ করার জন্য ভাষা কোনো বিষয় নয়। চরিত্রটা পর্দায় কীভাবে দেখানো হবে, সেটা বোঝাই আসল কথা। আমি ওটিটিতে এ ব্যাপারটি দেখে বিস্মিত হই না যে ভারতীয়রা প্রচুর পরিমাণে কোরিয়ান কনটেন্ট দেখছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’
এই মুহূর্তে নানা ভাষার ছবিতে কাজ করছেন অদিতি রাও হায়দারি। গত কয়েক বছর বেশ ব্যস্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। এমনকি ঘুমানোরও সময় পেতেন না। এক শুটিং সেট থেকে আরেক শুটিং সেটে যাওয়া–আসার পথে বিমানে ঘুমিয়ে নিতেন। ২০২১ সালে অদিতি ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’, ‘আজিব দাস্তান’, ‘মহাসমুদ্রম’সহ বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেন। ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে ‘হেই সিনামিকা’ নামের একটি ছবি। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গী কাজল আগারওয়াল ও দুলকার সালমান।