তুরস্কের ব্যয়বহুল হোটেলে বরুণ-নাতাশার মধুচন্দ্রিমা
বেশ কিছু দিন ধরেই বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান আর নাতাশা দলালের বিয়ে নিয়ে চলছে আলোচনা। এবার এই নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমাকে ঘিরে শুরু হয়েছে ফিসফাস। জানা গেছে, তুরস্কের একটি সমুদ্রসৈকতের ব্যয়বহুল এক হোটেলে তাঁরা তাঁদের জীবনের বিশেষ দিনগুলো কাটাতে যাচ্ছেন।
গত ২৪ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন বরুণ আর তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা নাতাশা। সব রীতিনীতি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়। বলিউডের এই রোমান্টিক জুটির বিয়েতে জাঁকজমকের কোনো কমতি ছিল না। তবে করোনার কারণে নিমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা ছিল নেহাত কম। মাত্র ৪০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল এই বিয়েতে। এমনকি করোনার কারণে প্রথমে তাঁরা মধুচন্দ্রিমাতে না যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছিলেন। বরুণ-নাতাশা ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাঁরা হানিমুনে যাবেন। তবে এবার মত বদলেছেন তাঁরা। বেশ কিছু দিন একান্তে কাটানোর নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই দম্পতি।
তুরস্কে তাঁরা মধুচন্দ্রিমা করতে পারেন বলে জোর রব। জানা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের অত্যন্ত অভিজাত এবং নয়নাভিরাম সিরাগন প্যালেসে বলিউডের এই নবদম্পতি একান্তে থাকবেন। সমুদ্রতটের এই বিলাসবহুল হোটেলটি বেশ বিখ্যাত আর অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বলিউডসহ সারা বিশ্বের বড় বড় তারকা সিরাগন প্যালেসেই ছুটি কাটাতে আসেন।
বরুণ আর নাতাশার প্রেমের কাহিনি এখন আর কারও অজানা নেই। শৈশব থেকেই তাঁরা একে অপরের কাছের বন্ধু ছিলেন। যৌবনে বরুণ-নাতাশা পরস্পর প্রেমে পড়েন। তবে বরুণই নাতাশাকে প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নাতাশা এই প্রেমকে প্রথমবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নাতাশাকে রাজি করাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল এই বলিউড তারকাকে। এবার তাদের দীর্ঘদিনের প্রেম পূর্ণতা পেল।