চরিত্রের বৈচিত্র্যে নজর
প্রথম সিনেমা ‘লাভ সোনিয়া’তে একেবারেই গ্ল্যামারহীন চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। পরের দুই ছবি ‘সুপার থার্টি’ ও ‘বাতলা হাউস’ ছিল পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার। ছোট চরিত্র, তারপরও নজর কাড়েন ম্রুনাল ঠাকুর। তবে পুরোপুরি ‘নায়িকা’ বলতে যা বোঝায়, সেটা তখনো হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর। তবে গত বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া দুই ছবি তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ অনেকটা বদলে দেয়। ফারহান আখতার ও কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে ‘তুফান ও ‘ধামাকা’র পর ব্যাপকভাবে আলোচিত হন। এরপরই আসে তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ছবি ‘জার্সি’। শহীদ কাপুরের বিপরীতে প্রধান নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও তাঁর অভিনয় ও গ্ল্যামারাস উপস্থিতি নজর কাড়ে। এরপর থেকে আরও অনেক সিনেমাতেই সুযোগ পেতে থাকেন ম্রুনাল।
সম্প্রতি অভিনেত্রী শেষ করেছেন নতুন ছবি ‘গুমরাহ’র শুটিং। যেখানে প্রথমবারের মতো পুলিশ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। টাইম অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্রুনাল কথা বলেছেন পর্দায় তাঁর চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে, ‘আমি নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করতে চাই। যতটা বেশি করা যায় আর কী। নিজেকে কোনো নির্দিষ্ট ঘরানায় বন্দী করতে চাই না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এটা লক্ষ্য। একের পর এক নতুন ধরনের ছবি ও চরিত্রে কাজ করে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই।’
বিভিন্ন চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতা তুলে ধরতে না পারলে ভালো অভিনেত্রী হওয়া কঠিন বলে মনে করেন ম্রুনাল। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি অভিনেত্রী হিসেবে নিজের ওজন বাড়াতে চান তবে এটা কেবল নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই সম্ভব। সাধারণ দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার সঙ্গে নিজের সৃজনশীল সত্তাকেও সন্তুষ্ট করতে চাই। অভিনেত্রী হিসেবে এই ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে আমাকে।’
‘গুমরাহ’তে প্রথমবার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ২৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলেন, ‘দৃঢ়চেতা এক পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করতে আমাকে নিবিড় প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। শারীরিকভাবে আরও শক্ত-সামর্থ্য হওয়ার প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র চালানো শিখতে হয়েছে। মোটকথা, চরিত্রের জন্য যা দরকার ছিল করেছি।’
‘গুরুমাহ’ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে ম্রুনালের। যার মধ্যে অন্যতম ‘সিতা রমন’। যেখানে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা দুলকার সালমান।