কাজলের কলমে শ্রীদেবীর জন্য ভূমিকা
দেড় বছর হতে চলল শ্রীদেবী নেই। তিনি শুধু ভারতের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নন, শ্রীদেবী মানে নস্টালজিয়া। শ্রীদেবী মানে ভিউকার্ডে হলুদ শিফন শাড়ি গায়ে জড়ানো নারী। দেয়ালে পোস্টার, পড়ার বইয়ের পাতায় তাঁর ছবি, তাঁর নাম। সেই শ্রীদেবী কিছুদিন আগে ফিরেছেন মোমের মূর্তি হয়ে, সিঙ্গাপুরে মাদাম তুসো জাদুঘরে। আর এবার ফিরবেন বই হয়ে।
আগামী নভেম্বরে শ্রীদেবীর জীবনী বই হয়ে প্রকাশিত হবে ভারতের পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস থেকে। গত বুধবার এই প্রকাশনী থেকে জানা গেছে, বইয়ের ভূমিকা লিখবেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় তারকা কাজল। বইটির নাম ‘শ্রীদেবী: দ্য ইটারনাল স্ক্রিন গডডেস’। বইটি লিখেছেন সত্যার্থ নায়ক। পাণ্ডুলিপি পড়ে অনুমোদন দিয়েছেন শ্রীদেবীর স্বামী, চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত প্রযোজক বনি কাপুর। তাই এখন শুধু বই বের হওয়ার অপেক্ষা।
শ্রীদেবীর জীবনীগ্রন্থের ভূমিকা লেখার জন্য সবচেয়ে যথাযথ ব্যক্তি কে? এর সঠিক উত্তর যে কাজল। কেন? কাজল এবং লেখক দিয়েছেন সেই জবাব। শ্রীদেবীকে দেখেই নাকি কাজলের বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার সাধ জেগেছিল। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কাজল বলেছেন, ‘আমি শ্রীদেবীর তারকাখ্যাতি দেখেই বেড়ে উঠেছি। সেটে তিনি একজন সুপারস্টার। আর বড় পর্দায় তিনি জাদুকর। বড় পর্দা থেকে তাঁর সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আমি তা অনুভব করেছি। তিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় আইকন।’ পেঙ্গুইন প্রকাশনী শ্রীদেবীর বইয়ের ভূমিকা লেখার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাই নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছেন কাজল।
লেখক সত্যার্থ নায়ক বলেছেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজলের বেড়ে ওঠা। গত শতকের আশি আর নব্বই দশকে শ্রীদেবীর আকাশচুম্বী তারকাখ্যাতি আর তার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তি শ্রীদেবীকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন কাজল। বছরের পর বছর শ্রীদেবীকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয় তাঁর। তিনি শ্রীদেবীর মেধা, রূপ আর গুণকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আর শ্রীদেবীই তাঁর অনুপ্রেরণা।’
এই বইয়ে থাকবে শ্রীদেবীর শিশুশিল্পী থেকে সুপারস্টার হওয়ার গল্প। সেই গল্পের বাঁকে বাঁকে আরও থাকবে নদীর মতো বয়ে যাওয়া দুঃখগাথা, উত্থান আর পতনের কথা।
সিনেমার মানুষটি হঠাৎ করেই ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের হোটেলে বাথটাবের পানিতে ডুবে চিরকালের মতো স্থিরচিত্র হয়ে যান।