কঙ্গনা আর অনুরাগ কশ্যপের তর্কযুদ্ধ চলছেই
গত রোববার স্বজনপ্রীতি নিয়ে কঙ্গনা রনৌতের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার নতুন করে প্রকাশিত হয়। বলিউড থেকে স্বজনপ্রীতি ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে কঙ্গনার লড়াইয়ের কথা কে না জানে! সেই সাক্ষাৎকারে শুরু। টুইটার এই কদিনে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেই যুদ্ধে ‘বিতর্কের রানী’ কঙ্গনা একাই ১০০। আর অন্য দলে রয়েছেন তাপসী পান্নু, স্বরা ভাস্কর আর পরিচালক অনুরাগ কশ্যপ। তিনজনে মিলেও সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন একা কঙ্গনার রোষ আর কথার বাণ।
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা তাপসী পান্নু আর স্বরা ভাস্করকে বি গ্রেডের অভিনয়শিল্পী বলেছেন। আহত তাপসী পান্নু লিখেছনে, ‘আমিও নগ্ন স্বজনপ্রীতির শিকার হয়েছি। কঙ্গনা যে বিষয়ে কথা বলছে, আমি তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এমন অসংখ্যবার হয়েছে, যে কথাবার্তা চূড়ান্ত, সব ঠিক। কিন্তু ছবিটা শেষমেশ করেছে প্রতিষ্ঠিত তারকার সন্তান বা সে রকমই অন্য কেউ। কিন্তু কঙ্গনা যেভাবে হিংস্র ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে, তা ওই সব অন্যায়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’ ১০ বছর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে স্বরা বলেন, ‘তখন তো বলেছিলেন, নেপোটিজম চাকরিতে কোটাব্যবস্থার মতো, ছিল, আছে, থাকবে। এখন আবার অন্য কথা বলেন! কখন যে কী বলেন!’
তাপসীকে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসেন পরিচালক অনুরাগ কশ্যপ। সেখান থেকে এই ‘অনলাইন ঝগড়া’ নতুন মোড় নিল। অনুরাগ শুরু করেন শুরু থেকে। জানান, কঙ্গনার সঙ্গে একসময় তাঁর খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এমনকি কঙ্গনার হাতে যখন কোনো কাজ ছিল না, তখন তিনি তাঁকে ‘কুইন’ সিনেমায় কাস্ট করেন। যেটি কঙ্গনার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু ‘মনিকর্ণিকা’র সাফল্যের পর কঙ্গনা পুরোপুরি বদলে গেছেন। এ সফলতাকে অনুরাগ বলেছেন, ‘বিষাক্ত’ আর ‘ধ্বংসাত্মক’। অনুরাগ বলেন, ‘কঙ্গনা আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে আমার ছবির প্রিমিয়ারে আসত। অথচ কঙ্গনা আর তাপসীর মনোমালিন্যের কারণে আমি যখন বন্ধু হয়ে সমঝোতা করার জন্য ওর সঙ্গে কথা বলতে গেলাম, ওর ব্যাপারটা এমন, “তুমি যদি আমার পক্ষের না হও, তবে তুমি আমার শত্রু।” শেষবার আমি যখন ওকে মেসেজ করি, ও তার উত্তর দিয়েছিল টুইটারে। তাই এখন টুইটারই আমাদের কথা বলার জায়গা। এই কঙ্গনাকে আমি চিনি না।’
কে জানে, রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলে যাওয়ার কারণেই কঙ্গনা আর অনুরাগের দুটি রাস্তা দুই দিকে বেঁকে গেছে কি না। তবে কঙ্গনাও ছেড়ে কথা বলেননি। ব্যক্তিগত আক্রমণের তির ছুড়ে দিয়েছেন অনুরাগের দিকে। বলেছেন, ‘নিজের স্ত্রীকে সামলে রাখতে পারেনি, আবার আমাকে উপদেশ দিতে আসে। আর তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া, এখন পর্যন্ত একমাত্র হিট ছবি “কুইন”। তাই আমার যদি কৃতজ্ঞ থাকতে হয়, একই কারণে তাঁদেরও আমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’
গতকাল বুধবার এর উত্তরে আনুরাগ বলেছেন, ‘স্ত্রীকে সামলে রাখতে হয় না। সে নিজেই নিজেকে সামলে রাখতে জানে। ওর (কালকি কোয়েচলিন) মনে হয়েছিল, আমার সঙ্গে ছিল। ওর যখন ইচ্ছা হয়েছে, চলে গেছে। ও আমার কেনা গোলাম নয় যে ওকে বেঁধে রাখব। ও স্বাধীন। যা ভালো মনে করেছে, সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে। আমি ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’