এখন আর অপরাধবোধ নেই ভূমির
লকডাউনের এই দীর্ঘ সময় ভূমি পেড়নেকর নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছেন। এই করোনাকালে তাঁর জীবনদর্শন অনেকটাই পাল্টে গেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ করা কতটা জরুরি, এই করোনাকালে তিনি সেটা আরও বেশি করে উপলব্ধি করেছেন। তাই এই অলস সময়ে তিনি পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
লকডাউনে নিজের আশপাশের প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য দারুণভাবে সরব হয়েছেন ভূমি। আর সে জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। ‘ক্লাইমেট ওয়ারিয়র্স’ (জলবায়ুযোদ্ধা) নামে একটি দল গঠন করতে চলেছেন ভূমি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামেশাই এর প্রচারে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবে প্রকৃতিকে সুরক্ষিত করতে আরও এক ধাপ এগিয়েছেন এই বিটাউনকন্যা।
এই লকডাউনে ভূমি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরোপুরি নিরামিষাশী হবেন তিনি। তাই মাছ-মাংসকে তাঁর খাদ্যতালিকা থেকে একদম বাদ দিয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। ভূমির খাবারের টেবিলে শুধু যে মাংস থাকে না, তাই–ই নয়, পোলট্রি, মাছ, দুগ্ধজাতীয় খাবার, ডিম ও মধু—এসব খাওয়াও বন্ধ করছেন ভূমি। পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক, উলে বোনা পণ্য ও গয়নায় মুক্তার ব্যবহারকেও ‘না’ বলেছেন ভূমি।
ভূমি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি সম্পূর্ণরূপে নিরামিষভোজী হতে চেয়েছি। আমিষ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অভ্যাস ত্যাগ করা মোটেও সহজ কথা নয়। “ক্লাইমেট ওয়ারিয়র্স”–এর সঙ্গে এই সফর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এখন আমিষজাতীয় কোনো খাবার আমাকে আকৃষ্ট করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই খুব বেশি আমিষ খেতাম না। লকডাউনে আমিষ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সত্যি বলতে, আমার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। ছয় মাস হতে চলল আমি আমিষ খাওয়ার অভ্যাস ছেড়েছি। আগে যখন আমিষ খেতাম, তীব্র অপরাধবোধে ভুগতাম। আমার এখন আর কোনো অপরাধবোধ নেই। আর শারীরিকভাবেও আগের থেকে এখন নিজেকে অনেক বেশি হালকা আর সুস্থ লাগে।