আরিয়ান এখন ৯৫৬ নম্বর কয়েদি
‘বীর জারা’ ছবিতে শাহরুখ খান ছিলেন ৭৮৬ নম্বর কয়েদি। বাস্তব জীবনে শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খান হলেন ৯৫৬ নম্বর কয়েদি। ছেলের জীবনে একদিন এ রকম ঘটনা ঘটবে, তা নিশ্চয়ই ভাবেননি শাহরুখ বা তাঁর ভক্তরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থার রোড কারাগারে কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টরা। কোভিড-১৯-এর নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্ত পাঁচজনকে কারাগারের মূল ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানান্তরের পর কয়েদিদের দেওয়া হয় একটি নম্বর। আরিয়ানের পরিচয় ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬।’
আর্থার রোড কারাগারের কর্মকর্তা নিতিন ওয়েচাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত সোমবার আরিয়ানের বাড়ি থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। কারাগারে থাকাকালে একজন কয়েদিকে তাঁর পরিবার প্রতি মাসে সর্বোচ্চ এই অঙ্কের টাকাই পাঠাতে পারে। এই টাকায় চালাতে হবে হাতখরচ। এই টাকায় কারাগারের ক্যানটিন থেকে কিনতে পারবে কেক, বিস্কুটের মতো শুকনো খাবার। তবে আপাতত বাড়ি থেকে পাঠানো পোশাকই পরছেন আরিয়ান। এখনো কারাগারের পোশাক দেওয়া হয়নি তাঁদের। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার খাবার খেতে পারছেন না আরিয়ান। খাবারের থালা দেখেই বলছেন, ‘ক্ষুধা নেই’। ক্যানটিন থেকে কেনা বিস্কুট খেয়ে থাকছেন বলিউডের কিং খানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিশেষ এনডিপিএস আদালত আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের রায় সংরক্ষিত রেখেছেন। এদিন এনসিবির পক্ষ থেকে আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে একাধিক তত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে। প্রশ্নোত্তরের পর্ব শেষে রায় সংরক্ষিত রাখেন বিচারক ভিভি পাটিল। পূজার ছুটির পর আগামী বুধবার খুলবে আদালত। সেদিন আরিয়ানসহ আরবাজ ও মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনের রায় ঘোষণা করবেন সেশন কোর্ট। তত দিন আর্থার রোড কারাগারে থাকতে হবে আরিয়ানদের।