আমির কন্যার বিষণ্নতা বনাম কঙ্গনার লড়াই
এক জীবনে কত কিছুই না করতে চান ইরা খান। কিন্তু কিছুই যেন ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠে না। মিউজিক শেখার জন্য সংগীতশিল্পী রাম সম্পাতের সঙ্গে কাজ করলেন। মার্কিন মিউজিক কম্পোজার, প্রযোজক এবং সংগীতশিল্পী মিশাল কৃপালানির সঙ্গে প্রেমও করলেন। তারপর ক্যারিয়ার শুরু করলেন নাট্যনির্দেশক হিসেবে।
সেখানে মন টেকেনি। বসলেন ছবি আঁকতে। ক্যামেরা নিয়ে বের হলেন ছবি তুলতে। তারপর নিজেই বনে গেলেন মডেল। কুকুর, বিড়াল তাঁর নিত্যসঙ্গী। পোষা প্রাণীদের পাশে রেখে শুরু করলেন ট্যাটু আঁকা। এত কাজের কাজি যিনি, তিনি নাকি দীর্ঘদিন ধরে ভুগেছেন বিষণ্নতায়।
১০ অক্টোবর ছিল মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এদিন এক মিনিটের একটি ভিডিও শেয়ার করে ইরা জানান, চার বছর ধরে তাঁর দিন কাটছে নিদারুণ বিষণ্নতায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ডাক্তার দেখিয়েছি। এখন আগের চেয়ে ভালো আছি। আপনারা ভাবছেন, আমার আবার কিসের বিষণ্নতা, কিসের অবসাদ? বলব। বিষণ্নতার সঙ্গে আমার লড়াইয়ের কথা সব বলব।’
ইরা যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকে শুরু করেছেন কঙ্গনা রনৌত। বলিউড থেকে ভারতের মূলধারার রাজনীতি, অথবা মুম্বাইয়ের লোডশেডিং—সবখানে তাঁর মন্তব্য করা চাই!
আমির খান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের মেয়ে ইরার ভিডিও ঢুকে গেছে সেই তালিকায়। ভিডিওটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘যে বাবা–মায়ের বিচ্ছেদ হয়, তাদের সন্তানদের বিষণ্নতায়, মানসিক অবসাদে ভোগা স্বাভাবিক। পারিবারিক বন্ধন এ কারণে খুব জরুরি। অন্তত সন্তানের মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য।’
ওই পোস্টে কঙ্গনা জানান, যে সময়ে ইরা বিষণ্নতায় ভুগছিলেন, সে সময় তিনিও লড়াই করছিলেন নানা মানসিক সংকটের সঙ্গে। সেই দিনগুলো স্মরণ করে কঙ্গনা লেখেন, ‘১৬ বছর বয়সে আমি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। সেই সময়ে আমার বোনের শরীর অ্যাসিডে ঝলসে যায়। মানসিক যন্ত্রণা নিয়েও একা হাতে তাঁকে সামলেছি আমি।’