অমিতাভের বাড়িতে কীভাবে করোনা পৌঁছাল
দুটি টুইট বার্তা শনিবার রাতে উপমহাদেশের বিনোদনজগৎকে দিল এক ধাক্কা। প্রথম টুইটে কিংবদন্তিতুল্য অভিনেতা অমিতাভ জানালেন, তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ! পরপরই ছেলে অভিষেক জানালেন, করোনাভাইরাস তাঁকেও ধরেছে। পরদিন রোববার সকালে পরিবারের সবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হলো। বাড়িতে থাকেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মেয়ে আরাধ্য, জয়া বচ্চন, শ্বেতা নন্দা ও তাঁর ছেলে। ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যর করোনা পজিটিভ এসেছে।
গতকাল অভিষেক বচ্চন নিজেই টুইটে নিশ্চিত করেছেন, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্য করোনায় আক্রান্ত। এক দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। শনিবার রাত থেকে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টুইটারে জায়গা করে নিয়েছে বচ্চন পরিবারের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, বচ্চন-পরিবার কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলো!
ভারতে লকডাউনের পুরো সময়টা বাড়িতেই ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাই বলে অলস সময় কাটেনি তাঁর। বাড়িতে বসেই করেছেন অনেকগুলো কাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত শেয়ার করেছেন নিজের আপডেট। পোস্ট করেছেন পুরোনো ও নতুন ছবি। করোনাবিধি মেনে শুটিংয়েও যাননি তিনি। মার্চে করোনা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেটার শুটিংও বাড়িতেই হয়েছিল। এপ্রিলে তাঁকে দেখা গেছে বলিউড তারকাদের নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ফ্যামিলিতে। এই কাজের জন্য বাড়িতেই ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছিল। মে মাসে 'কৌন বনেগা ক্রোরপতি' গেম শোর বেশ কিছু প্রোমো তৈরি করেছেন তিনি। সেগুলোর শুটিং বাড়িতেই করা হয়েছে। দূরে বসে পরিচালনা করেছেন দঙ্গল ও ছিচোড়ে ছবির নির্মাতা নিতেশ তিওয়ারি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন আগে একটি বিজ্ঞাপনের ডাবিংয়ের জন্য নিজের ডাবিং স্টুডিওতে গিয়েছিলেন ছেলে অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। সেটা মুম্বাইয়ের জুহুতে, অমিতাভের বাড়ি 'জলসা'র পাশেই। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই ভাইরাস নিয়ে এসেছেন অভিষেক!
ভারতে প্রাথমিকভাবে লকডাউন তুলে নিলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করে বলিউড। সেই তালে কাজে ফেরেন অভিষেকও। কয়েক দিন আগে নিজের ওয়েব সিরিজ 'ব্রিদ: ইনটু দ্য শ্যাডোজ'-এর ডাবিং করতে যান তিনি। অভিষেক কোভিড পজিটিভ জানার পর সেই স্টুডিও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি জলসা ধুয়েমুছে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। টুইট করে অমিতাভ অনুরোধ করেছেন, গত ১০ দিন যাঁরা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে যেন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান।