অক্ষয়ের বিপরীতে প্রস্তুত মানুষি
বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুষা চলছিল। ২০১৭ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ মানুষি ছিল্লার বলিউডের বড় পর্দায় পা রাখতে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনো ঘোষণা আসেনি। এবার যশ রাজ ফিল্মস আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবিতে বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের বিপরীতে অভিষেক ঘটবে মানুষি ছিল্লারের।
মানুষি ছিল্লার চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর মা–বাবাও পেশায় চিকিৎসক। বিশ্বসুন্দরী এই চিকিৎসক এবার হবেন অভিনেত্রী। এই ছবিতে অক্ষয় কুমারকে দেখা যাবে পৃথ্বীরাজের ভূমিকায়। আর মানুষি হবেন তাঁর স্ত্রী, রাজকুমারী সংযুক্তা। ছবিটি পরিচালনা করবেন চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী। তিনি ছোট পর্দার জন্য নির্মিত ঐতিহাসিক মহাকাব্যনির্ভর সিরিয়াল ‘চাণক্য’র পরিচালক। ‘পিঞ্জর’ (২০০৩) ছবির জন্য তিনি পরিচালক হিসেবে দারুণ সমাদৃত হন।
চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী ডেকান ক্রনিকলে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা একেবারে ভারতীয়, তারুণ্যে ভরপুর, ঐতিহাসিক চরিত্রে মানানসই, আত্মবিশ্বাসী, সুন্দরী, ধ্রুপদি নাচ জানে, এমন একটা মেয়ে খুঁজছিলাম। এই চরিত্রের জন্য সারা ভারত থেকে অসংখ্য তরুণী অডিশন দিয়েছে। কিন্তু রাজকুমারী সংযুক্তা হয়ে ওঠা তো সহজ নয়। সব মিলিয়ে, মানুষিকেই এই চরিত্রের জন্য একদম ঠিকঠাক মনে হয়েছে। সে এই চরিত্রের জন্য একাধিকবার অডিশন দিয়েছে। ভারী পোশাকে নেচেছে, অস্ত্র চালিয়েছে।’
ডেকান ক্রনিকলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরু থেকে মানুষি ক্ল্যাসিক্যাল নাচ ভালোবাসেন। মিস ইন্ডিয়া আর মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চেও তাঁর ভরতনাট্যম নাচ মুগ্ধ করেছে দর্শককে। আর মানুষিকে এবার কত্থক শিখতে বলা হয়েছে। ছবিতে তাঁকে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই নাচের দৃশ্যে দেখা যাবে।
এই পরিচালক আরও জানান, ৯ মাস ধরে সপ্তাহে ৬ দিন মানুষি ছিল্লার যশ রাজ ফিল্মসের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বড় পর্দায় সংযুক্তা হয়ে ওঠার জন্য যা যা দরকার, তার সবই করেছেন।
মানুষি ছিল্লার বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। আমার জীবন সত্যিকার অর্থেই কোনো রূপকথার চেয়ে কম নয়। রাজকুমারী সংযুক্তার হয়ে ওঠা অনেক বড় দায়িত্ব। এত শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের চরিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্তটা খুবই বড়। নিজের সবটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আমি।’
মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর মানুষি ছিল্লারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি বলিউডে আসবেন? তখন মানুষি বলেছিলেন, ‘বলিউডে আসার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কারণ, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার মানে বলিউডে প্রবেশপথ তৈরি নয়। বরং এ খেতাব পাওয়ার মানে যে কোনো কাজ করার সুযোগ পাওয়া। এমবিবিএস পাস করে আমি ভারতের নারী আর শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চাই।’
বলিউডের ব্যাপারে আগ্রহী নন কেন? মানুষি বলেছিলেন, ‘কারণ, আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছি। সেটা বলিউডের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বলিউডের জন্য আমার পড়াশোনা আর পেশা জলাঞ্জলি দেব না।’
সময়ই জানিয়ে দিয়েছে, বলিউডকে অগ্রাহ্য করা সহজ নয়। এমবিবিএসে পড়ার পাশাপাশি এবার মানুষি ছিল্লার পা রাখতে চলেছেন বলিউডে।