এবার তিনি গোয়েন্দা

পাঞ্জাবি সিনেমার দুনিয়ায় বেশ নামডাক আছে অভিনেত্রী ওয়ামিকা গাব্বি। তবে ইতিমধ্যে বিটাউনেও চেনামুখ তিনি। জব উই মেট দিয়ে হিন্দি ছবির খাতা খুলেছিলেন পাঞ্জাবি অভিনেত্রী ওয়ামিকা গাব্বি। একের পর এক নামকরা পরিচালকের প্রকল্পে দেখা যাচ্ছে এই নায়িকাকে। এবার বিশাল ভরদ্বাজের মতো পরিচালকের নতুন প্রকল্পে আসছেন ওয়ামিকা। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চিত তিনি।

কখনো দৃষ্টিহীন তরুণী, আবার কখনো ষাটের দশকের সাদা-কালো সিনেমার নায়িকা রূপে তাঁকে ওটিটিতে দেখা গেছে। এবার বিশাল ভরদ্বাজের চার্লি চোপড়া অ্যান্ড দ্য মিস্ট্রি অব সোলাং ভ্যালি ওয়েব সিরিজে গোয়েন্দার ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। এই সিরিজে নিজের অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে এএনআইকে ওয়ামিকা বলেছেন, ‘আমি এই ওয়েব সিরিজে “চার্লি চোপড়া” নামের এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি, যে চণ্ডীগড়ে জ্যাম আর মধু তৈরি করে। মেয়েটি যখন জানতে পারে যে তার হবু বর খুনের মামলায় সন্দেহের তালিকায় আছে। তখন মেয়েটি তাকে বাঁচাতে গোয়েন্দা হয়ে ওঠে।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বিশাল স্যার আমাকে ফোন করে সময় চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে হ্যাঁ বলেছিলাম। আর নিজের চরিত্রের প্রস্তুতিতে ডুবে গিয়েছিলাম। বিশাল স্যারের সঙ্গে দেখা করে চিত্রনাট্য আর আমার অভিনীত চরিত্রের বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। জুম ভিডিও কলে নারী গোয়েন্দার সঙ্গে আমি কথা বলতাম। তাঁর কাছ থেকে নানান টিপস নিতাম। একজন নারী গোয়েন্দার শারীরিক ভাষা কী রকম হওয়া উচিত, তা জানতে চাইতাম। এ ছাড়া আমি গোয়েন্দাদের ওপর প্রচুর সিনেমা দেখেছি।’

এই ওয়েব সিরিজে ওয়ামিকা পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজের ভাষায় কথা বলার মতো আনন্দ কিছুতে নেই। আর সেটে একমাত্র আমি তা করতে পেরেছিলাম। এটা আমার জন্য বেশি আনন্দের।’

পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের প্রসঙ্গে ওয়ামিকার ভাষ্য, ‘তাঁর সঙ্গে আমার এটা চতুর্থ প্রকল্প। তাই বিশাল স্যারের সেটে কাজ করা মানে নিজের ঘরের অনুভূতি। তাঁর সেটের পরিবেশ অত্যন্ত আনন্দদায়ক থাকে। অবশ্য সেটে সবচেয়ে শান্ত, সংযত ব্যক্তিটি হলেন বিশাল স্যার।’

সনি লিভ-এর চার্লি চোপড়া অ্যান্ড দ্য মিস্ট্রি অব সোলাং ভ্যালি ওয়েব সিরিজে ওয়ামিকা গাব্বি ছাড়াও আছেন নীনা গুপ্তা, নাসিরুদ্দিন শাহ, লারা দত্ত, রত্না পাঠক শাহ, গুলশান গ্রোভার, পাওলি দাম, ভিভান শাহ, ঈমাদ শাহসহ আরও অনেকে। ওয়ামিকাকে আগামী দিনে বিশাল ভরদ্বাজের খুফিয়া ছবিতে দেখা যাবে।