‘রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল’

রণবীর কাপুরইনস্টাগ্রাম

একসময় বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন নীতু কাপুর। সত্তরের দশকে ‘দিওয়ার’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘কাভি কাভি’ ছবির পরে জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পরেই অভিনয় থেকে বিদায় নেন নীতু।

আরও পড়ুন

ঋষির সঙ্গে বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে মা-বাবার দাম্পত্য কলহ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রণবীর কাপুর নিজেই। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

ঋষি ও নীতুর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে একসময় মুখ খুলেছিলেন তাঁদের ছেলে অভিনেতা রণবীর। বাবা-মায়ের দাম্পত্যে বেশ চড়াই-উতরাই ছিল। সম্পর্ক একেবারেই মসৃণ ছিল না। ঋষি ও নীতুকে নিয়ে তাই বিতর্ক ছিল যথেষ্ট। সে বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন রণবীর। সেই সময়ে ঋষি কাপুর জীবিত ছিলেন।

ঋষি ও নীতু কাপুর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

রণবীর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেই সময়ে সংবাদমাধ্যমে কী প্রকাশ হতো, তা বড় বিষয় ছিল না। আমি মা-বাবার সঙ্গেই থাকি। আমি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে বাবা-মাকে যেতে দেখেছি। তাই আমিও এটার অংশ ছিলাম। আমি ঠিকই ছিলাম।’

রণবীর আরও বলেছিলেন, ‘আমি একটা বাংলোয় থাকি। মা-বাবা নিচের তলায় থাকেন। আমি একদিন প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সিঁড়িতে বসে ছিলাম। রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। জিনিসপত্র ভাঙচুরের আওয়াজও আসছিল। সবাই এই ধরনের সময়ের মধ্য দিয়ে যায়। আমার মা-বাবা জনপ্রিয় ছিলেন বলে সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেত।’

বাবা-মায়ের অশান্তির জন্য স্কুলে অস্বস্তি লাগত বলেও জানান রণবীর। তাঁর কথায়, ‘স্কুলেও অস্বস্তি লাগত। বন্ধুরা ভালো বলে কিছু বলত না। কিন্তু বুঝতে পারতাম, ওরাও জানে।’

১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি বিয়ে করেন নীতু ও ঋষি। বিয়ের পর অভিনয় ছাড়লেও ২০০৯ সালে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন নীতু। তার পর থেকে ‘দুনি চার’, ‘জব তক হ্যায় জান’, ‘বেশরম’, ‘স্পেশাল ২৬’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।