চলে গেলেন মহাভারত সিরিয়ালের শকুনি মামা
পর্দার ‘মহাভারত’–এর শকুনি মামা তথা অভিনেতা গুফি পেন্টাল মারা গেছেন। আজ সোমবার সকালে ৭৮ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই অভিনেতা। প্রবীণ এ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের বিনোদন দুনিয়ায়। অভিনেতার ছেলে হ্যারি পেন্টাল তাঁর বাবার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। আজ বিকেলে এই অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিনেতার ছেলে হ্যারি পেন্টাল ঘোষণা দেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা গুফি পেন্টাল আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমাদের সবার মধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে মৃত্যু হয় তাঁর।’
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস সূত্র জানায়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ৩১ মে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রবীণ এ অভিনেতা। তিনি ছয়-সাত দিন ধরে বয়সজনিত একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর হৃদ্রোগ ও কিডনি–জনিত বেশ কিছু সমস্যা ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
১৯৪৪ সালের ৪ অক্টোবর শিখ পরিবারে জন্ম গুফি পেন্টালের। ইঞ্জিরিয়ারিং-এর ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৯-এ ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মুম্বাইয়ে যান। টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভের লোভনীয় চাকরিও ছেড়ে দেন অভিনয়ের টানে। আশির দশকে মূলত অভিনেতা হিসেবে জীবন শুরু করেন গুফি।
এর আগে প্রথম জীবনে পরিচালক ছিলেন। বেশ কিছু হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। পরিচালক বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’–এ শকুনি মামার চরিত্রে অভিনয় করেন গুফি পেন্টাল।
ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী অভিনীত ‘দিল্লাগি’-ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। ‘দেশ পরদেশ’, ‘সুহাগ’ ও ‘সম্রাট অ্যান্ড কোং’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন গুফি। তবে ছোট পর্দায় বেশ কাজ করেছেন এই গুণী অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনের পর্দায় ‘শকুনি মামা’র চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান।
‘মহাভারত’ সিরিয়ালের এই চরিত্র অন্য চরিত্রগুলোর মতোই ঘরে ঘরে পরিচিতি পায়। ‘মহাভারত’–এ তাঁর সহ-অভিনেতা পঙ্কজ ধীর ২০১০ সালে মুম্বাইয়ে অভিনয় অ্যাক্টিং একাডেমি নামে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলেন। বেশ কয়েক বছর সেখানে দায়িত্বও সামলান গুফি পেন্টাল। যদিও একটা সময়ের পর আর খুব বেশি কাজ করতে দেখা যায়নি এ অভিনেতাকে।