শুল্ক কর্মকর্তা জানালেন, শাহরুখ খানকে জরিমানা করা হয়নি
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরার পর মুম্বাই বিমানবন্দরে শাহরুখ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও জরিমানা করা হয়েছে—শনিবার বিকেলে এমন খবর প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যম।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শাহরুখের সঙ্গে বিলাসবহুল ঘড়ির বাক্স ছিল। এ ঘটনায় শুল্ক কর্মকর্তারা শাহরুখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তাঁকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শাহরুখকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ বা জরিমানা করা হয়নি। পণ্যের শুল্ক হিসেবে ওই সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই জ্যেষ্ঠ শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, শাহরুখ খান ও তাঁর দলকে বহন করা পণ্যের জন্য শুল্ক দিতে বলা হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো জরিমানা বা বাধা দেওয়া হয়নি।
ওই শুল্ক কর্মকর্তা আরও জানান, শাহরুখ খান, তাঁর ম্যানেজার পূজা দাদলানি এবং তাঁদের দল প্রাইভেট টার্মিনাল থেকে যাতায়াত করছিল, যাকে বিমান কর্তৃপক্ষ জিএ (জেনারেল এভিয়েশন) টার্মিনাল বলে।
পাশে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন শত শত ফ্লাইট আসে। যখনই শুল্ক বা অন্য কোনো ফি প্রদানের ঘটনা ঘটে, তখনই জিএ টার্মিনাল থেকে যাত্রীদের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, সেখানে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য কর্মী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, শাহরুখ ও তাঁর দল দুপুর সাড়ে ১২টায় জিএ টার্মিনালে পৌঁছেছিল। তাদের কাছে বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি ঘড়ির জন্য ব্যবহৃত বিশেষ কেস ও একটি অ্যাপল ঘড়ি ছিল, যার রসিদ ছিল না। তারা ঘোষণা দিয়েছিল, পণ্যগুলো উপহার ছিল। কর্মকর্তারা ইন্টারনেট দেখে এ পণ্যগুলোর মূল্য নির্ধারণ করেন ১৭ লাখ ৮৬ হাজার রুপি।
এরপর শাহরুখ খানের দেহরক্ষী রবি সিং ৬ লাখ ৮৮ হাজার রুপি শুল্ক পরিশোধ করেছেন (৬৮.৫ শতাংশ শুল্ক হিসাবে গণনা করা হয়েছে)।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনা যেভাবে মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে, কোনো বড় অভিযান চালানো হয়েছে; কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়।
তবে ওই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক টার্মিনালের মতো জিএ টার্মিনালেও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।