ঐশ্বরিয়ার কারণেই সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে: সোমি আলী
একাধিক বলিউড তারকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সালমান খান। এই তালিকায় সংগীতা বিজলানি, শাহিন জাফরি, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোমি আলী, ক্যাটরিনা কাইফ, ইউলিয়া ভান্তুরসহ আরও অনেকেই আছেন। সালমানের রোমান্সের খবরে তখন বিটাউন সরগরম থাকত। কিন্তু ভাইজানের কোনো প্রেমই বেশি দিন টেকেনি। সম্প্রতি সালমানের সাবেক প্রেমিকা সোমি আলী তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
বলিউড অভিনেত্রী সোমি আলীর সঙ্গে সালমানের প্রেমের কথা আজও বিটাউনে কান পাতলেই শোনা যায়। সোমি আলী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সালমানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙেছিল ঐশ্বরিয়ার কারণেই।
অভিনেত্রীর দাবি, সালমানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেমকাহিনি শুরু হয় ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেট থেকে। এক সাক্ষাৎকারে সোমি বলেছেন, ‘“হাম দিল দে চুকে সনম” ছবির শুটিং চলাকালীন আমি একবার সালমানকে ফোন করেছিলাম। আমার ফোন তখন সালমান ধরেনি। আমি তখন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালিকে ফোন করি। উনি জানান যে সালমান এখন আমার সঙ্গে কথা বলতে পারবে না, কারণ ও একটা শটের কারণে ব্যস্ত।’
বিটাউনের এই সাবেক অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘আমার তখন বিষয়টা অদ্ভুত লেগেছিল। বানসালিকে আমি তখন জিজ্ঞেস করি, সালমান শট দিচ্ছে, তাহলে পরিচালনা ছেড়ে কেন আমার ফোন ধরলেন?’
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে সোমি বলেছেন, ‘পরে ঐশ্বরিয়া সালমানের সঙ্গে জিমে যেতে শুরু করেছিল। আগে আমি ওর সঙ্গে জিমে যেতাম। আমি সালমানের সঙ্গে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকতাম। এর পাশেই জিমটা ছিল।’
অভিনেত্রী জানান, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটেই সালমান আর ঐশ্বরিয়া যে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন, এ খবর তিনি বেশ কিছু বিশ্বস্ত কর্মচারীর থেকে পেয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক আরও সামনে এগোবে। এটাও বুঝেছিলেন, তাঁর সরে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।
তবে সালমান আর ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গাড়ি বেশি দূর এগোয়নি। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৯ সালে। আর তাঁদের সম্পর্কের ইতি হয় ২০০১ সালে।
সোমি আরও জানিয়েছেন, তাঁর কারণেই সংগীতা বিজলানির সঙ্গে সালমানের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। অভিনেত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সালমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যখন শুরু হয়, তখন ওর সংগীতা বিজলানির সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। ওই সময়ে ওরা দুজনে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনকি ওদের বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন উত্তর প্রদেশের বিন্ধ্যাচলে থাকতাম। সালমান আমার সঙ্গে দেখা করতে ওখানে এসেছিল। আমরা দুজনে ঘরে বসে কথা বলছিলাম, আর হঠাৎই ঘরে সংগীতা ঢুকে পড়েছিল। সালমানকে আমার সঙ্গে দেখে সংগীতা প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিল।
সংগীতা সালমানকে বলে, আমার আর ওর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে ওকে। রেগেমেগে সংগীতা ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
সালমান আমাকে বলে, সংগীতার সঙ্গে কথা বলে দশ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবে। কিছু সময় পর সালমান ফিরে আসে। আমাকে সালমান জানায়, সে সংগীতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে। পরে আমি সংগীতার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আমাকে ও ক্ষমা করে দিয়েছিল। আর সংগীতা জানিয়েছিল যে আজহারউদ্দিনকে (ক্রিকেটার) বিয়ে করে ও খুশিতে আছে।’
সালমানের সঙ্গে সোমি আলীর সম্পর্ক টানা আট বছর ছিল বলে শোনা যায়। তবে ব্রেকআপের পর সোমি ভাইজানের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি সোমির অভিযোগ ছিল, সালমান তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতেন।