সাইফের মামলার তদন্তকে ঘিরে প্রশ্ন, জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলার তদন্তকে ঘিরে মুম্বাই পুলিশের তদন্ত ও তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইফের ওপর হামলার মামলায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না। এই মামলায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ মন্তব্য করেছেন।
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করেছে। ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বান্দ্রা আদালত। এদিকে মিড ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইফের বাসায় ঘটনাস্থলে যে ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মিলছে না।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পুলিশ যে কথা বলেনি, সেটা নিয়ে মিডিয়া বিভ্রান্তের সৃষ্টি করছে। এই মামলায় পুলিশের তদন্ত সঠিক দিশায় এগোচ্ছে। খুব শিগগিরই এই মামলা পুলিশ শেষ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। মুম্বাই পুলিশ কমিশনারকে বলব, আজ ও কাল মিডিয়ায় এই কেস ঘিরে যেন তথ্য দেন।’
সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকে ঘিরে পুলিশের তদন্ত জারি আছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এখানো ফিঙ্গার প্রিন্টের রিপোর্ট আসা বাকি আছে।
তবে পুলিশ নিশ্চিত যে যাঁকে তারা গ্রেপ্তার করেছে, সে–ই সাইফের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর থেকে পুলিশ বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করেছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে পশ্চিমবঙ্গের খুকুমণি জাহাঙ্গীর নামের এক মহিলার আধার কার্ড ব্যবহার করে শরিফুল সিম কার্ড পেয়েছিলেন।
গত রোববার পুলিশের দুটি দল পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার খবর অনুযায়ী, মুম্বাই পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও প্রথম আলোকে কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে মুম্বাই পুলিশের দুটি দল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে গেছে। শরিফুল যাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড পেয়েছিলেন, তাঁর সন্ধানে আছেন তাঁরা। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি বলে জানা গেছে।