ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও যে কারণে কেমোথেরাপি নিতে চাননি সঞ্জয় দত্ত
২০২০ সালের আগস্টে সঞ্জয় দত্তের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি প্রথম প্রকাশ পায়। এরপর দুই বছর পার হলেও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া ও চিকিৎসা নিয়ে খুব একটা কথা বলেননি এই অভিনেতা। জানা যায়নি, ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর মানসিক অবস্থার কথা। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি জানান, ক্যানাসারে আক্রান্ত হলেও শুরুতে কেমোথেরাপিই নিতে চাননি তিনি।
সঞ্জয় দত্তকে যখন জানানো হয় যে তিনি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত, তখন তাঁর সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী মান্যতা ছিলেন দুবাইতে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে স্বভাবতই মুষড়ে পরেন অভিনেতা।
কেননা, তাঁর পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে। তাঁর মা নার্গিস দত্ত ও প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি মা ও স্ত্রীর চিকিৎসার সময় দেখেছিলেন, কেমোথেরাপি নেওয়ার সময় তাঁরা কতটা কষ্ট পেয়েছেন। এ জন্যই সঞ্জয় ঠিক করেছিলেন যত কষ্টই হোক, কেমোথেরাপি নেবেন না।
‘শমসেরা’ ছবির শুটিংয়ের সময় হঠাৎ পিঠে ব্যথা অনুভব করেন সঞ্জয়। এই সময় তাঁর শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও প্রথমে তাঁকে ক্যানসারের বিষয়টা জানাননি ডাক্তার। ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’–এর অভিনয় যখন তিনি শুরু করেন, তখনই জানতে পারেন শরীরে ক্যানসারের উপস্থিতির কথা।
প্রথমে চিকিৎসা করতে না চাইলে পরে তিনি ভাবেন তাঁর পরিবারের কথা। পরিবারের কথা ভেবে তিনি সিদ্ধান্ত বদলান। চিকিৎসার পর ক্যানসারমুক্ত হয়ে অভিনয়ে ফেরেন।
তবে তিনি যখন ক্যানসার আক্রান্ত, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন, তখনই ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন।
সাধারণ কোনো দৃশ্যে নয়, সিনেমার কঠিন সব অ্যাকশন দৃশ্যে পারফর্ম করে সবাইকে চমকে দেন তিনি। গত বছর ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ মুক্তির পর ১ হাজার ২০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে।